টেবিলে মাথা রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে আছেন এক মহিলা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া নেই। আর তাতেই ঘাবড়ে যান এক প্রতিবেশী। ফলে দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তাঁরাও তড়িঘড়ি হাজির হন। এবং দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। আর তাতেই চমক।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে লন্ডনে। লন্ডনের এক আর্ট গ্যালারিতে এমনই দৃশ্য দেখতে পান এক মহিলা। তিনি দেখেন, একটি ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। আর সেই ঘরে টেবিলে মাথা রেখে বসে আছেন এক মহিলা। সামনে কমপিউটার। দেখে আপাতভাবে মনে হয়, তিনি বুঝি টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে ভিতরের মহিলাকে নড়তে চড়তে না দেখে ডাকাডাকি শুরু করেন ওই মহিলা। তাতেও সাড়া পাননি। তখনই ডেকে পাঠান পুলিশকে।
পুলিশ এসেও প্রথমে দরজায় ধাক্কা দেয়। কিন্তু লাভ না হওয়ায় দরজা ভাঙা হয়। ভিতরে গিয়ে চমকে যান পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, ওটি কোনও মানুষই নয়, ওটি একটি পুতুল। যাকে বলে ‘হাইপার-রিয়্যালিস্টিক স্কাল্পচার’।
এই আর্ট গ্যালারিটি আবার ব্যাংকসির প্রাক্তন এজেন্টের গ্যালারি। আর সেখানে এমন একটি ইনস্টলেশন রাখার কারণ কী?
অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজের চাপে অনেক মানুষ তাঁদের জীবন কাটিয়ে ফেলছেন টেবিলে মাথা রেখেই। আর্থসামাজিক পরিস্থিতির এই চাপ এবং তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের দুর্বিসহ পরিস্থিতির তুলনা করেই এই ইনস্টলেশনটি বানানো।
এই ঘটনার পরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই মূর্তিটি নিয়ে। যদিও য়ে শিল্পী এটি বানিয়েছেন, তিনি এখনও এটির সম্পর্কে কিছু বলেননি। ভিতর থেকে দরজাই বা কীভাবে বন্ধ করা হল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে।