Ectolife: World’s First Artificial Womb Facility Know Complete Details


নয়াদিল্লি: গর্ভধারণ হবে। বেড়ে উঠবে শিশু। কিন্তু মায়ের পেটে নয়। একটি স্বয়ংক্রিয় আধুনিক গবেষণাগারে বেড়ে উঠবে শিশু। এখানেই শেষ নয়, সেই শিশুর চোখের মণি কেমন হবে? বুদ্ধাঙ্ক কেমন হবে? সব কিছুই হবে পিতা-মাতার ইচ্ছেমতো। কারণ সেভাবেই ‘তৈরি’ করা যাবে সদ্যোজাতকে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই দাবি করছেন বায়োটেকনোলজিস্ট হাসিম-আল-ঘাইলি (Hashem Al-Ghaili)। এমন একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে, এমন পরিকাঠামো তৈরি করা হতে চলেছে যার মাধ্যমে কৃত্রিম জঠরে বেড়ে উঠতে পারে শিশু। যেন sci-fi সিনেমার কোনও দৃশ্য।   

কার পরিকল্পনা:
বার্লিনের বাসিন্দা হাসিম-আল-ঘাইলি (Hashem Al-Ghaili) একজন বায়োটেকনোলজিস্ট। তাঁর ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, তিনি একজন সায়েন্স কমিউনিকেটর এবং ‘Molecular Biologist by Trade’। ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি একজন প্রোডিউসার এবং ফিল্মমেকারও। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই পরিকাঠামো। যদিও গোটা বিষয়টিই ভাবনার স্তরে রয়েছে।

নাম কী?
জানানো হয়েছে এর নাম দেওয়া হয়েছে এক্টোলাইফ (Ectolife)। এটিকে ‘বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম জঠর’ বলেও দাবি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে কোনও পিতা-মাতা তাঁদের পছন্দমতো বৈশিষ্ঠ্য যুক্ত শিশু পেতে পারেন। হাসিম আল-ঘাইলি জানিয়েছেন, অন্তত ৫ দশক ধরে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে Ectolife.


কী পরিকল্পনা:
ইংলন্ডের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গোটা এই পরিকাঠামো চলবে পুনর্নবীকরণ শক্তির মাধ্যমে। মোট ৭৫টি গবেষণাগার তৈরি করা হবে। প্রতিটি গবেষণাগারে ৪০০টি করে কৃত্রিম জঠর থাকবে। অর্থাৎ প্রতিটিতে একটি শিশু বেড়ে উঠবে। মায়ের গর্ভে যেমন পরিস্থিতি থাকে, এই কৃত্রিম জঠরগুলিতেও একইরকম পরিস্থিতি থাকবে। বাবা-মায়ের ইচ্ছেমতো যাবতীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হতে পারবে শিশু। তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনগতো বদলও করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। 

বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠার প্রতিটি পদক্ষেপ দেখতে পারবেন। এমনকী এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে সবসময়েই নজরে রাখতে পারবেন বাবা-মায়েরা। 

বিপদের আগাম সঙ্কেত:
আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (Artificial intelligence) উপর নির্ভর করেই তৈরি হবে গোটা বিষয়টি। কোনওরকম জিনগত সমস্য়া দেখা গেলেও তা আগে থেকেই জানিয়ে দিতে পারবে সিস্টেম, এমনই দাবি করা হয়েছে।

কীভাবে জন্ম?
শিশুর বিকাশ পূর্ণ হয়ে গেলে, একটি বোতামের মাধ্যমেই ওই pod বা কৃত্রিম জঠর থেকে বেরিয়ে আসবে শিশু। 

কোনওরকম শারীরিক জটিলতা, ব্যথা ছা়ড়াই শিশুর জন্ম সম্ভব হবে এই পদ্ধতিতে। সেই কারণেই এমন পরিকাঠামোর কথা ভাবা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)-এর রিপোর্টে জানানো হচ্ছে, সারা বিশ্বে গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণে বিপুল সংখ্যক মৃত্যু হয়। সেক্ষেত্রে শিশু ও মা-দুজনেরই প্রাণ নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। Ectolife যে পদ্ধতি এনেছে তাতে ওই বিপদ পুরোপুরি কাটানো যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, যে দেশগুলি ক্রমহাসমান জনসংখ্যার সমস্যায় ভুগছে, সেগুলিও এই পদ্ধতিতে ওই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবে।

তবুও বাধা:
হাসিম আল-ঘাইলি জানিয়েছেন, এই পরিকাঠামো এখন বাস্তব। কিন্তু নীতিগত প্রশ্নে এই প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। মানবভ্রূণের উপর গবেষণাও বিভিন্ন নীতি ও নিয়ম মেনে করতে হয় এখন। তবে আগামী কয়েক দশকে এই পদ্ধতি বিশ্বে নিজের জায়গা করে নেবে বলে তাঁর আশা। 

আরও পড়ুন: হ্যাকারদের বাজারে ৬০ কোটি গ্রাহকের ডেটা ! চুরি যাওয়া ডেটায় সবার ওপরে ভারত
 

Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )

Calculate The Age Through Age Calculator