Suddikullah Chowdhury: মন্ত্রীকে না জানিয়েই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ সিদ্দিকুল্লাহ

রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি মোট ৭৩৮ টি পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে যে সমস্ত কর্মীরা অবসর নেবেন তাদেরই চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর। এ নিয়ে বিস্মিত খোদ মন্ত্রী। তাঁকে না জানিয়েই কীভাবে এই নির্দেশিকা জারি হল? সে বিষয়ে বিভাগের সচিবকে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রন্থাগারগুলিতে স্থায়ী নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন সিদ্দিকুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী নিয়োগ হবে। অর্থ দফতরে ইতিমধ্যেই ফাইল অনুমোদনের জন্য রয়েছে।’ তারইমধ্যে মন্ত্রীকে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া নিয়ে উঠে আসছে পরস্পর বিরোধী তত্ত্ব। মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে শুনেছি। আমাকে অন্ধকারে রেখে কে বা কারা নির্দেশিকা জারি করল? আমি কিছুই জানিনা। আমি যেখানে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে চাইছি তাহলে কেন এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে? রাজ্য সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চাইছেন ৭৩৮ টি পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হোক। বিষয়টি ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। আশা করি দ্রুতই তা হবে। কে বা কারা এই নির্দেশিকা জারি করেছে তা জানার জন্য বিভাগের প্রধান সচিবকে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছি।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ গ্রন্থাগারে কর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে এক একজন গ্রন্থাগারিককে একাধিক গ্রন্থাগারের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় ৭৩৮ জন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ হলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।’ এবিষয়ে গ্রন্থাগার কর্মীদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ সাধারণের গ্রন্থাগার এবং কর্মী কল্যাণ সমিতির রাজ্য সভাপতি ফারুক শেখ জানিয়েছেন, ‘সরকার স্থায়ী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ করতে চাইছে। তাহলে কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? এই নির্দেশিকাই আমরা বিস্মিত হয়েছি।’