তৃণমূলে চোর আছে, মেনে নিয়েও TMCকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা শোভনদেবের

তৃণমূলে চোর আছে, বিরোধীদের এই অভিযোগ মেনে নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে অন্য দলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে নিজেদের দুর্নীতি ছোট করে দেখানোর মরিয়া চেষ্টা করলেন তিনি। সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে শোভনদেবের সেই চেষ্টা।

ভাইরাল ভিডিয়োয় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, লোকে বলে আমাদের দলে চোর আছে। হ্যাঁ, আছে তো। কিন্তু আমি তো সেই দল খুঁজছি যে দলে একটাও চোর নেই। সেই দল পেলে তাদের পার্টি অফিস আমি রোজ ঝাঁট দেব।

তিনি আরও বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তিনি শাস্তি পেলে দুঃখ নেই। কিন্তু ৫০ কোটি টাকার সঙ্গে কি ১৩ হাজার কোটি টাকার তুলনা হবে? কী করে নীরব মোদী ১৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালাল?

শোভনদেবের মন্তব্যের জবাবে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, শোভনদেববাবুকে তাহলে বিজেপির দিকে তাকাতে হবে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকারের বিরুদ্ধে এক টাকা চুরির কেলেঙ্কারি নেই। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এক টাকা চুরির কেলেঙ্কারি নেই। দুর্নীতিতে তৃণমূল ক্ষয় হয়ে গিয়েছে। যে পার্টি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত তারা কী করে অন্য পার্টির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে পারে?

সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সততার প্রতীকের প্রচার আর মানুষ খাচ্ছে না। সততার প্রতীক বলে ওরা যার প্রচার করেন তিনিই যে দুর্নীতির মাথা সেটা মানুষ বুঝতে পেরে গিয়েছে। শোভনদেববাবুর দল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে কোনও ব্যক্তিকে মাথায় তুলে সততার প্রতীক প্রচার করে অসৎ প্রমাণিত হয়েছে আমার জানা নেই। শোভনদেববাবু আসলে দুর্নীতির পক্ষে সওয়াল করলেন। পশ্চিমবঙ্গকে টেনে নামানোর চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই চেষ্টায় মমতার সঙ্গী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এসব বলে উনি বাঁচতে পারবেন না। ওনার দলে সবাই চোর।