Bengal BJP: নয়াদিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত–শুভেন্দুরা, একাধিক বৈঠক হবে কোন বিষয়কে নিয়ে?‌

নয়াদিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক আছে। আবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অমিত শাহের পৃথক বৈঠক হওয়ার কথা। এমনকী জেপি নড্ডার সঙ্গে বঙ্গ– বিজেপির নেতাদের বৈঠক আছে। একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্র‌্যাটেজি তৈরি হবে। অন্যদিকে রাজ্যের ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাড়িতেও বৈঠক রয়েছে। কিন্তু বিধানসভা থেকে যে প্রতিনিধিদল যাওয়ার কথা ছিল সেটার কী হবে?‌ উঠছে প্রশ্ন।

কী মন্তব্য করেছেন সুকান্ত?‌ এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‌কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুঠ করে রাজ্যের অর্থনীতি চলছে।’‌ সুতরাং মুখে বললেও একশো দিনের কাজ নিয়ে রাজ্যের স্বার্থে কতটা কথা হবে তা নিয়ে সন্দিহান তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্র‌্যাটেজি তৈরিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাড়িতে বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন বিএল সন্তোষ, জেপি নড্ডা। সেখানে থাকবেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যরা। রাজ্যের সংগঠন সম্পর্কে যে রিপোর্ট তৈরি হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। যার জবাব দিতে হবে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের। এখানেই উঠে আসবে ডিসেম্বর মাসের দুটি সুপারফ্লপ তারিখের রাজনীতি। এমনকী হাজরা মোড়ের সভা একক সিদ্ধান্তে নেওয়া নিয়েও কড়া কথা শুনতে হতে পারে এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। কারণ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‌আমি যা বলি ভেবে কথা বলি। বাংলায় বড় ডাকাত জেলের ভিতরে যাবেই।’‌

এইসব কথা বলে আক্ষেরে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। কারণ এখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করতে শুরু করেছে, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে ইডি–সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপদে ফেলতেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। হাজরা মোড়ের সভায় আসার আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজধানীতে বৈঠকে বসছে বঙ্গ–বিজেপি। সেখানে এসব বিষয় উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল।