Giant cyst operation: মাথায় লেগে যেন আরেকটা মাথা, বিরল সিস্টের অস্ত্রোপচারের পর নতুন জীবন পেল একরত্তি

জন্মের পর থেকেই একরত্তির মাথার পিছন দিকে জোড়া আরেকটা মাথার মতো গোলাকার অংশ। বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম সিস্ট। তবে ছোটখাটো সিস্ট নয়, আকারে প্রায় আরেকটি মাথার সমান। বিজ্ঞানে এই ধরনের সিস্টকে জায়ান্ট অসিপিটাল এনসেফালোসেলি (giant occipital encephalocele) বলা হয়। বিরল থেকে বিরলতম সিস্টগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। অস্ত্রপ্রচার করে কী এটি বাদ দেওয়া যেতে পারে? চিকিৎসকরা বলেছিলেন হ্যাঁ, সম্ভব। কিন্তু যে হাসপাতালে একরত্তির জন্ম, সেখানে তা সম্ভব নয়। তখন থেকেই শুরু খোঁজ, কোথাকার কোন হাসপাতালে নিয়ে গেলে একরত্তি একটু সুস্থ জীবন পাবে। শেষে দেশের গন্ডি পেরিয়ে যেতে হল। বাংলাদেশের এক দম্পতি সম্প্রতি এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই গিয়েছেন। দিল্লির এইমসে পৌঁছে সফল অস্ত্রপচার হয় তাদের একরত্তির।

বিশালাকার সিস্ট

সদ্য বাবা মা হওয়া ওই দম্পতির আশা ছিল, জন্মের পর এটি সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিয়ে দেওয়া যাবে। তবে বাংলাদেশের যে হাসপাতালে একরত্তির জন্ম, সেখানের চিকিৎসকরা প্রথমেই হাত তুলে নিয়েছিলেন। এমনিতেই বিরল একটি সিস্ট, তার উপর জটিল অস্ত্রপ্রচার। চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরনের সিস্ট নিয়ে জন্মানো শিশুদের মস্তিষ্কেও জটিলতা তৈরি হয়। ফলে তার পক্ষে বেশিদিন বাঁচা সম্ভব হয় না। ফলে অস্ত্রপচার না করলেও নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ওই দম্পতি বদ্ধপরিকর। একরত্তি শিশুকে সুস্থ করে তুলবেনই। তাই খোঁজখবর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পর ভারতে চলে আসেন। সরাসরি দিল্লির এইমসে গিয়ে ভর্তি করান ছোট্ট খুদেকে। তারপরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তৈরি হয়। শুরু হয় অস্ত্রপ্রচার। দীর্ঘ অস্ত্রপ্রচার শেষ পর্যন্ত সফল হয়। বিশালাকার সিস্টটি কেটে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়।

প্রসঙ্গত, শিশুর ডেলিভারির সময়েও বেশ জটিলতা ছিল। কারণ দুই শিশুকে জন্ম দিয়েছিলেন মা। তার মধ্যে আবার এক শিশুর মাথায় বিশালাকার সিস্ট। তবে বরাতজোরে সুস্থভাবেই জন্ম হয় দুজনের। কিন্তু সিস্ট থাকার কারণে একজনের বেঁচে থাকা নিয়ে কোনও আশ্বাস দিতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। সঠিক চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকায় হাতও তুলে নিতে হয়। তারপরেই এইমসের চিকিৎসকদের অক্লান্ত চেষ্টায় এই অসাধ্য সাধন।