Jadavpur University: কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ অমিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকেন্দ্র ধুঁকছে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস এখন টাকার কষ্টে ভুগছে। তাই স্কুলের বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তনী–সহ নানা শিক্ষিত মানুষজনের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কর্পোরেট সাহায্যের আবেদনও জানানো হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ছাড়া এখনও কোনও বড় সাহায্য মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। আর এটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে?‌ সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তনীদের কাছে আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। রাজ্য সরকার ছ’কোটি টাকা সাহায্য করেছে। যদিও এই আর্থিক সঙ্কটে ওই টাকা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য শূন্যে এসে ঠেকেছে। তারই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্কুল অব কালচারাল টেক্সটস অ্যান্ড রেকর্ডস আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি বলে সূত্রের খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই স্কুলের অধিকর্তা অভিজিৎ গুপ্ত জানান, এখন যে প্রকল্পগুলি রয়েছে এবং আগামী দিনে যে সব প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে তার অর্থ স্কুলের হাতে নেই। এই স্কুলের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ স্বেচ্ছায় চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। তিনি বলেন, ‘গবেষকদের বেশি পারিশ্রমিক দিতে গেলে অর্থের প্রয়োজন হয়। সেই টাকা স্কুলের হাতে নেই।’ এখন নানা কাজ বাকি পড়ে রয়েছে। সেগুলির জন্য টাকা দরকার। কিন্তু সেই টাকা না মেলায় ধুঁকছে সবকিছু।

এখানের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা কী বলছেন?‌ এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা সুকান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাংলা অ্যাকাডেমি সামান্য জায়গায় বাংলায় এমন শব্দকোষ তৈরি করেছে। কিন্তু আমাদের কাজটি অনেক বড়। ইংরেজি আর ডাচ ছাড়া অন্য ভাষায় এমন কাজ আর হয়নি।’ কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ কাজ কেমন করে শেষ হবে তা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না।