Rainbow pride walk: শীতের দুপুরে রামধনু রং, কলকাতা রাঙা হল সাত রঙা ছোঁয়ায়

রবিবারের দুপুরে তিলোত্তমার বুকে আয়োজিত হল ১৭ তম রেনবো প্রাইড ওয়াক। কোভিডের জন্য মাঝখানে দুই বছর বন্ধ ছিল এই পদযাত্রা। তবে মারণরেগের সব বাধা কাটিয়ে এই বছর পথে নামল এলবিজিটিকিউরা। লেডি ব্রেবোর্ন থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রায় আনন্দ আর উত্তেজনা ধরা পড়ল পরতে পরতে। দুই বছর পরে আবার স্বমহিমায় আয়োজিত হচ্ছে বলে এই নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না। প্রস্তুতির জোরদার চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। শুধু এলবিজিটিকিউ সমাজের মানুষরাই নন, অনেকেই সামিল হন এদিন। পাশাপাশি, শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র পার্ক স্ট্রিটও সাড়া দিয়েছিল আনন্দের মিছিলে। বিখ্যাত সব রেঁস্তোরা থেকে পথের দুপাশ সেজে উঠেছিল রামধনুর সাতটি রঙে। রবিবার সকালে পার্ক স্ট্রিটের সেই আলো ঝলমলে ছবি নিজের টুইটারে শেয়ার করেন তৃণমুল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। একইসঙ্গে ক্যাপশনে জানান আগামী প্রজন্ম যেন এমন কুইয়ার বান্ধব হয়ে ওঠে।

১৭ বছর ধরে তিলোত্তমার বুকে আয়োজিত এই পদযাত্রা এশিয়ার প্রথম এলজিবিটিকিউ পদযাত্রা। তবে ১৭ তম হলেও প্রতি বছর নিয়ম করে এই পদযাত্রার আয়োজন সম্ভব হয়নি। প্রথম পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ২৩ বছর আগে ১৯৯৯ সালে। দুই বছর পরে আয়োজিত হচ্ছে বলে এলজিবিটিকিউদের মধ্যে এই নিয়ে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। প্রায় তিন হাজার মানুষ এদিনের মিছিলে অংশ নেন। শুধু হাঁটাই নয়, সুরে তালেও মেতে ওঠেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিনের বেশ কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসক রোহিত দাশগুপ্তের শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে ‘কলকাতার রসগোল্লা’ গানে মেতে উঠতে দেখা যায় সব্বাইকে। রামধনু পদযাত্রাকে আরও সুন্দর করে তুলতে সাতরঙা পতাকায় সেজে উঠেছিল বেশ কিছু রেঁস্তোরা। এছাড়াও কয়েকটি রেঁস্তোরার প্রবেশপথেও ছিল এই রামধনু রঙের ছোঁয়া।

এদিনের উৎসব মিছিলে সামিল হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কনসুলেট জেনারেল। তিনিও টুইটারে কলকাতা প্রাইড ওয়াক নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তাকে রামধনু রঙে সেজে ওঠা অটোর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, অস্ট্রেলিয়াও গর্বের সঙ্গে এলবিজিটিকিউদের অধিকারের লড়াইকে সমর্থন করে।