Wood Smuggling: লরিতে সাজানো কুমড়ো, সরাতেই উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার বার্মাটিক কাঠ! ধৃত ২

গাড়িতে সাজানো রয়েছে মিষ্টি কুমড়ো। আর সেগুলি সরাতেই বেরিয়ে এল লরি ভর্তি বার্মাটিক সেগুন কাঠ। আসলে মিষ্টি কুমড়োর আড়ালে লক্ষাধিক টাকার বার্মাটিক সেগুন কাঠ পাচার করা হচ্ছিল একেবারে ফিল্মি কায়দায়। তবে পাচারকারীদের সেই উদ্দেশ্য বানচাল করল বনদফতর। জলপাইগুড়ির রানীনগর এলাকা থেকে সেগুন কাঠ ভর্তি লরিটিকে আটক করেছে বনদফতর। এছাড়া, চালককে গ্রেফতার করেছে। এই সমস্ত সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে বনদফতর।

বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। জলপাইগুড়ির রানীনগর এলাকা থেকে মিষ্টি কুমড়ো বোঝাই একটি ১৪ চাকার লরি আটক করেন বন দফতরের কর্মীরা। লরি থেকে মিষ্টি কুমড়ো সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ বনদফতরের কর্মীদের। তাতে বিপুল পরিমাণ বার্মাটিক কাঠ দেখতে পান বনকর্মীরা। যার আনুমানিক বাজারমুল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে বনদফতর। ধৃতরা হল মহম্মদ নাঈম ও শেখ কলিম। দুজনই মহারাষ্টের বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল কাঠগুলি। মঙ্গলবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি–জলপাইগুড়ি অঞ্চলে বার্মাটিক কাঠ পাচার কিছু নয়। কখনও চালের বস্তার আড়ালে, কখনও আসবাবপত্রের আড়ালে প্রায়ই এই অঞ্চলে কাঠ পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে। তার জন্য কাঠ পাচার রোধে এই অঞ্চলে বনদফতর এবং পুলিশ সক্রিয়।