‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে’

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের জন্যই দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। টিমওয়ার্ক, পরিশ্রম ও একাগ্রতা থাকলে যেকোনও কাজেই সাফল্য আসে।’

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন, ইনোভেশন ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে জ্বালানি খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি খাতকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করতে হয়। সমন্বিত ও সম্মিলিত উদ্যোগে বিদ্যমান এবং আগত প্রতিকূলতা নিরসন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা আবশ্যক।’

তিনি বলেন, ‘আজকের পুরস্কার পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উজ্জীবিত করবে। সেই সঙ্গে অন্য কর্মকর্তাদের মাঝেও ইতিবাচক ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’

২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ পেট্রোবাংলা, হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং জিএসবিকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

দফতর ও সংস্থাপ্রধানদের মধ্য থেকে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২য়-৯ম গ্রেডের মধ্য থেকে উপসচিব (পরিকল্পনা-১) শাকিল আহমেদ, ১০ থেকে ১৬ গ্রেডের মধ্য থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম আজাদ এবং ১৭-২০তম গ্রেডের মধ্য থেকে অফিস সহায়ক বেগম আজিজুন নাহারকে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জ্বালানি খাতে বিশেষ অবদান ও উদ্ভাবনের জন্য প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।