Meenakshi Mukherjee on Panchayat Election: ‘ইট ছুড়তে এলে পাটকেলের জন্য তৈরি থাকতে হবে’, ‘আমিষ লড়াইয়ে’র ডাক মীনাক্ষীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রণংদেহী মেজাজে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত, পুর নির্বাচনের মতো স্থানীয় নির্বাচনে বারবারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর খাটিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠে থাকে। এই আবেহ এবার মীনাক্ষীর স্পষ্ট বার্তা, ‘ইট ছুড়তে এলে পাটকেলের জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ বাম নেত্রীর কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরামিষ লড়াই হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে বাম যুবকর্মীরা জান লড়িয়ে দেবে বলে দাবি করেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক।

সোমবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক জনসভা থেকে মীনাক্ষী বলেন, ‘পঞ্চায়েতের লড়াইয়ের জিত ফুটবল ম্যাচের মত টাইব্রেকারে হবে না। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজের দাবিতে ভাতের দাবিতে যুবরা বুক দিয়ে নিজের বুথ আগলাবে।’ এদিকে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও এই সভায় বক্তব্য রাখেন। মীনাক্ষীর সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও বলেন, ‘আমরা পুলিশকে বলেছি চোর ধরো, জেল ভরো। কিন্তু পুলিশ যদি না ধরে আর জেলে যদি না ভরে, তা হলে পাবলিক ধরবে। আর পাবলিক ধরলে গাছে বেঁধে রাখবে। মেদিনীপুরে ইতিমধ্যেই যা শুরু হয়েছে।’ শাসক শিবিরকে খোঁচা মেরে সেলিম আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, চোর ধর, জেল ভর। আমরা তো বলিনি তৃণমূল ধর। তাহলে তৃণমূলের এত গায়ে লাগছে কেন? তাহলে তৃণমূলই বলে দিচ্ছে, ওরা চোর।’

দুর্নীতি প্রসঙ্গে একসুরে তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘শিক্ষক নিয়ে দুর্নীতি করার জন্য অমিত শাহের সঙ্গে এক জায়গায় বসতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’ সেলিম আরও বলেন, ‘অনুব্রত এবং পার্থ এখন জেলে। ভবিষ্যতে অনেকেই যাবেন।’ এদিকে শুভেন্দুকেও নিশানা করেন বাম নেতা। তাঁকে ‘নকল বিজেপি’ বলে আখ্যা দেন। সেলিম বলেন, ‘শুভেন্দুকে বিরোধী নেতা বলা হচ্ছে। তিনি কি বিরোধী নেতা? চেটেপুটে তৃণমূলের লুট করা খাবার খেয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছে। এই শুভেন্দু পঞ্চায়েতে মমতার হয়ে কাজ করেছিলেন। এখন নকল বিজেপি সেজেছেন। আসলে কেন্দ্রে মোদীর লুট, রাজ্যে দিদির লুট।’ সেলিমের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন বলেই এ রাজ্যে বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত।