Shyamal Adak: সুতাহাটা বাজারে শ্যামল আদককে নিয়ে গেল পুলিশ, কী জানতে এমন উদ্যোগ?‌

সরকারি টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। এছাড়া একই কাজ অথচ তার জন্য একাধিকবার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে গ্রেফতারও করে সুতাহাটা থানার পুলিশ। এখন তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে এবার সুতাহাটা বাজারে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানে গিয়ে হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে সুতাহাটা বাজার লাগোয়া এলাকা খতিয়ে দেখেন পুলিশ অফিসাররা।

ঠিক কী তদন্ত করতে এমন উদ্যোগ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, বেআইনি নির্মাণ এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে। সরকারি জমিতে অনুমতি না নিয়ে নয়ানজুলি ভরিয়ে সুতাহাটা বাজারে অটো–টোটো স্ট‍্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল। আর স্টল তৈরির প্রকল্পে দু’বার করে টাকা খরচ দেখানো হয়। এই ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত‍্যব্রত দাস এবং কায়ম মল্লিক নামে এক ঠিকাদার জেল হেফাজতে রয়েছেন। এমনকী এসবের সঙ্গে শ‍্যামলের যোগ রয়েছে। তাই পুলিশের জেরা পর্বে প্রাক্তন পুরপ্রধানকে নিয়ে ওই বাজার ঘুরে দেখা হয়েছে।

ঠিক কী বলছে বিজেপি?‌ এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি আনন্দময় অধিকারী অবশ্য শ্যামল আদকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নিজেও আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যেতেই তিনিও তাঁর হাত ধরে সেখানে গিয়েছেন। আনন্দময় অধিকারী বলেন, ‘‌শ্যামল আদক যতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল ততদিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। শ্যামল বিজেপিতে গিয়েছে। তাই এখন অভিযোগ আসবেই। এটা নিয়ে আমরা বিচলিত নই। ভারতীয় জনতা পার্টিতে যারাই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাবে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসবে।’‌

পাল্টা কী বলছেন অভিযোগকারী?‌ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কমলেশ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‌বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলাম। একই কাজকে দু’বার দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। এসবের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছি, পুলিশ তার তদন্ত করেছে। দেশে আইন বিচারব্যবস্থা আছে, বিচার হচ্ছে। অন্যায় করলে শাস্তি তো পেতেই হবে।’‌