Tata Steel: মাত্র ১১ সেকেন্ডে ৩০ তলা উঁচু চিমনি গুঁড়িয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়াররা!

টাটা স্টিলের জামশেদপুর প্ল্যান্টের একটি পুরনো চিমনি ভাঙা হয়েছে। আর তার ভিডিয়ো নজর কেড়েছে সকলের। আসলে স্থাপত্যের সৃষ্টিও যতটা কঠিন, পরিকল্পিত ধ্বংসও ঠিক ততটাই চ্যালেঞ্জিং। ১১০ মিটার উঁচু এই চিমনি পরিকল্পনামাফিক ধ্বংসের মাধ্যমে তারই প্রমাণ দিলেন ইঞ্জিনিয়ার-প্রযুক্তিবিদরা।

টাটা স্টিলের কোক প্ল্যান্টের এই চিমনিটির বয়স হয়েছিল ২৭ বছর। উচ্চতায় প্রায় ১১০ মিটার। অর্থাত্, প্রায় ৩০ তলা অট্টালিকার সমান উচ্চতা। সেটিকেই মাত্র ১১ সেকেন্ডে নিখুঁতভাবে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়াররা। ভারত তথা বিশ্বের কাছে এটি নজির বলা যেতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আরও পড়ুন: Bengal industries-মালদহে ৩০০ কোটি টাকার কৃষি প্রক্রিয়াকরণের কারখানা চালু করল গুজরাট অম্বুজা এক্সপোর্টস!

‘জামশেদপুর প্ল্যান্টের ৫ নম্বর ব্যাটারির ২৭ বছর বয়সী ১১০ মিটার উঁচু চিমনিটি ইমপ্লোশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর ফলে শ্রমিকদের জন্য ধ্বংস করার প্রক্রিয়াটিকে নিরাপদ হয়ে গিয়েছে। এতে সময়ও বেঁচেছে এবং এটি পরিবেশ বান্ধবও বটে। চিমনিটি ১১ সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে,’ জানালেন টাটা স্টিল প্ল্যান্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অবনীশ গুপ্ত।

এই মহাধ্বংসের দায়িত্বে ছিল সাউথ আফ্রিকার এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া। তারা জে ডেমোলিশন কোম্পানির সহায়তা পায়। সংস্থার কৃতিত্ব বোঝাতে একটি উদাহরণই যথেষ্ট। কোনটি? চলতি বছর ২৮ অগস্ট নয়ডার টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার ঘটনা মনে আছে? একেবারে নিখুঁত ও নিরাপদ প্রক্রিয়ায় বেআইনি বহুতল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বরাতও ছিল এই সংস্থারই হাতে। আরও পড়ুন: Noida Twin Towers Demolition: ৩,৭০০ কেজি বিস্ফোরক, ৯ সেকেন্ড, ধুলোর ঢেউ – ধ্বংস নয়ডার টুইন টাওয়ার: ভিডিয়ো

চিমনি ভেঙে ফেলার পরে ধুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘জলের পর্দা’ ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্থাত্ বিপুল পরিমাণে জল ছিটিয়ে ধুলো সীমিত করা হয়েছে। অন্যদিকে কম্পন শোষণের জন্য ‘বার্ম পরিখা’ও স্থাপন করা হয়েছিল। ‘স্টিল র‍্যাপস’-এর মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষকে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো হয়। টুইট থ্রেডে এমনটাই জানিয়েছে টাটা স্টিল।

এই ধরনে মোট ২টি ইউনিট প্রতিস্থাপিত করা হবে। আগামিদিনে এর বদলে আরও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ইউনিট স্থাপন করা হবে।