Anubrata Mondal: আলাদা ঘরে রাত কাটালেন কেষ্ট, পুলিশ হেফাজতে পাতে পোস্তর বড়া

আপাতত দুবরাজপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি যাত্রা কার্যত ঠেকিয়ে দিয়ে তিনি এখন নিজের জেলায়। অনেকেই বলছেন, এই জেলাতে দাঁড়িয়েই তিনি বিগত দিনে পুলিশকে বোমা মারার নিদান দিতেন। সেই জেলার থানাতেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। দুবরাজপুরে নিজের জেলায় পুলিশ হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

সূত্রের খবর, আসানসোল থেকে দুবরাজপুর আদালতে আসার পরে বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন তিনি। দলের এক নেতাও কার্যত মেনে নিয়েছেন বিষয়টি। কিন্তু থানার লক আপে ঠিক কী খেলেন কেষ্ট মণ্ডল?

সূত্রের খবর, আসানসোল জেল থেকে সকাল সকাল স্নান সেরে বেরিয়েছিলেন তিনি। এরপর দুবরাজপুর আদালত চত্বরে এসে লুচি, তরকারি খেয়ে নেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে মুসুরডাল দিয়ে ভাত খান অনুব্রত মণ্ডল। আর তার সঙ্গেই পাতে পড়েছিল তার প্রিয় পোস্তর বড়া ও আলু পোস্ত। বেশ তৃপ্তি ভরেই তিনি খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর রাতে অনুব্রত কিছুটা হালকা খাবারই খান। তার পাতে ছিল তিনটি রুটি, বেগুন পোড়া ও ছোলার ডাল। ডিনারটা এদিয়েই সেরে নেন তিনি।

তবে থানায় আলাদা একটা ঘরে রাত কাটানোর সুযোগ পান অনুব্রত। এমনকী একজনকে অ্য়াটেনডেন্ট হিসাবেও রাখা হয়েছিল বলে খবর।

তবে অনেকের মতে দিল্লির তিহাড়ে ঠাঁই হতে পারে অনুব্রতর একথা শুনেই অনেকেই টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত দুবরাজপুরে আনার পরে অনেকটাই স্বস্তি মেলে।

এদিকে দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ কোর্ট অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। আর সেদিনই বছর খানেক আগের দুবরাজপুর পার্টি অফিসের একটি ঘটনায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শিবঠাকুর মণ্ডল নামে এক প্রাক্তন প্রধান। আর সেই মামলাতেই দুবরাজপুর থানায় পুলিশ রিমান্ডে চলে আসেন কেষ্ট মণ্ডল।