Kolkata police: বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসবে মাদকের বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৎপর পুলিশ

সামনেই বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসব। বর্তমানে যুবসমাজের মধ্যে মাদকের প্রবণতা যেভাবে বেড়েছে তাতে উৎসবের মরশুমে আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কলকাতা পুলিশ। সেই মতোই পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দু দশকে দেশে মাদক মামলার সংখ্যা বেড়েছে ২৯৮ শতাংশ। যা সত্যিই উদ্বেগ জনক। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী উৎসবের দিনগুলিতে কলকাতা পুলিশকে ধরপাকড় চলানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।

পুলিশ সূত্রের খবর, শহরে প্রবেশ এবং বেরোনোর রাস্তায় নাকা তল্লাশি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতা সমস্ত থানাগুলিকে তল্লাশি এবং ধরপাকড় বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বড়দিনে সাধারণত পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলা এবং মধ্য কলকাতা হোটেলের পানশালাগুলিতে বাড়ে। এছাড়াও পার্টিও চলে। সেই কারণে ৪৫০ জন পুলিশ কর্মীকে সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আগামী ২ সপ্তাহ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মোতায়েন থাকবে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালাবে কলকাতা পুলিশ। এর পাশাপাশি কাউকে দেখে সন্দেহ হলে তৎক্ষণাৎ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এমনকি হেফাজতে নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, তদন্তকারীদের অনুমান, কুরিয়ারের মাধ্যমে বর্তমানে মাদকের কারবার বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিদেশ থেকে সেই মাদক চলে আসছে এদেশে। কখনও গাড়ির সাইট বেল্টে মুড়িয়ে, কখনও জুতোর হিলের মধ্যে আবার কখনও পুতুলের পেটে এই সমস্ত মাদক নিয়ে আসা হচ্ছে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে মাদকের কারবার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে ‘টর ব্রাউজার’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি হল এমন ধরনের ব্রাউজার যেখানে আইপি অ্যাড্রেস গোপন থাকে। ফলে সহজে কাউকে ধরা যায় না। গাঁজা তো বটেই এমনকি এলএসডি, হাসিস, কোকেন, হেরোইন ছাড়াও একাধিক মাদক এভাবেই পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই জট আগের থেকে অনেকটাই কাটানো গিয়েছে বলে লালবাজারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।