প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজির থাকব, ১২ দিন আগেই ঘোষণা করলেন মমতা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ব্যতিক্রমীভাবে নিজে মুখেই আগেভাগে সেকথা জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠক পোর্ট ট্রাস্টের প্রতিনিধিকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ব্যতিক্রমী সৌজন্যের নজির খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই।

বুধবার নবান্ন সভাঘরে ছিল গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে। বৈঠকে মেলার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে হাজির ছিলেন কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকও। বৈঠকে তাঁর বক্তব্য শুনতে চান মমতা। তিনি বলতে শুরু করতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘৩০ তারিখে তো প্রধানমন্ত্রী আসছেন। অনুষ্ঠান কি আপনারা গার্ডেনরিচে করছেন?’ তখন নৌসেনার প্রতিনিধি বলেন, ‘অনুষ্ঠান হবে নেতাজি সুভাষ ডকে।’ মুখ্যমন্ত্রী হাসি মুখে বলেন, ‘আমি জানি। কারণ তাঁরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মন্ত্রীও আমাকে ফোন করেছিলেন। আমিও অনুষ্ঠানে যাব। আপনারা এব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে শেষ কবে মুখ্যমন্ত্রীকে এত উৎফুল্ল দেখিয়েছে তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৯ মাস তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের একের পর এক বৈঠকে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। সেই মমতা প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে ১২ দিন আগে ঘোষণা করছেন, হজম হচ্ছে না অনেকেরই।

গত সপ্তাহেই পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক উপলক্ষে নবান্নে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে শাহকে পাত পেড়ে খাওয়ান মমতা। তার পর তাঁকে নিয়ে যান নবান্নের ১৪ তলায় নিজের দফতরে। সেখানে ২ জনের মধ্যে ২০ মিনিটে বৈঠক হয় দুজনের। এর পর কি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও একান্ত বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা? জবাব মিলবে ৩০ ডিসেম্বর।