Calcutta High Court: প্রাথমিকে ৫৩ জনের চাকরি পুনরায় বরখাস্ত, সরগরম কলকাতা হাইকোর্ট

রাজ্যে আবার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরিতে গেল। আজ, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে ৫৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হল। আজ, শুক্রবার দিনভর এই মামলার শুনানি চলবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সুতরাং আরও চাকরি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এঁদের বেশিরভাগই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ নথিপত্র খতিয়ে দেখে ফের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে প্রাথমিকে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে মোট ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ২৬৯ জন। তাঁদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। সেটার শুনতে গিয়েই বরখাস্ত করা হল ৫৩জনকে।

এদিন এই ৫৩ জনের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন বিচারপতি। আর সুপ্রিম কোর্ট ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের উপর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। বলেছিল, আগে এই ২৬৯ জনের বক্তব্য শুনতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। তাই যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদেরই হলফনামা জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। হলফনামা দিয়ে ২৬৯ জনকে জানাতে হবে যে, তাঁরা বৈধ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছেন। আজ ৫৪ জন হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। যা খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি। আর একজন উপস্থিত না হওয়ায় তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আজ দিনভর এই মামলায় বরখাস্তদের নিয়ে শুনানি চলবে। এই ঘটনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেওয়ায় ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নথিপত্র চাওয়া হয়। সুপারিশপত্র বা কাজে যোগ দেওয়ার চিঠি তাঁদের কাছে আছে কি না জানতে চায় আদালত। আজ তাঁরা হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানান কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেসব খতিয়ে দেখে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়। যে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাঁরা চার বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করেছেন।