Calcutta High court: মানিক ভট্টাচার্যের মামলা ফেরালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কেন শুনলেন না বিচারপতি?‌

নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের মামলা শুনলেনই না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং আজ, শুক্রবার ফিরিয়ে দিলেন এই মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সর্বোচ্চ আদালতে যতদিন বিষয়টি বিচারাধীন থাকবে ততদিন কোনও শুনানি করা যাবে না। এবার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এদিন মামলার শুনানি তাঁর বেঞ্চে এলে তিনি সটান ফিরিয়ে দেন।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ ২৬৯ জন শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। তার পরে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তার শুনানি এখনও চলছে। সেই মামলার শুনানিতে ১৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সর্বোচ্চ আদালতে যতদিন বিষয়টি বিচারাধীন থাকবে ততদিন নিম্ন আদালতে এই মামলার কোনও শুনানি করা চলবে না। সেই নির্দেশ মতোই আজ, শুক্রবার শুনানির এই মামলা শুনলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর ৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০১৭ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে নিযুক্ত ২৬৯ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করতে হবে। তাঁদের বেতন বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে গোটা বিষয়টি ঝুলেই রইল। আর সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে যে সময়ে এই মামলা গিয়েছিল তখন তদন্ত বিশেষ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এখন তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে।

ইডি ঠিক কী তথ্য পেয়েছে?‌ এই অবস্থায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিকে নিয়োগ থেকে শুরু করে টিচার্স ট্রেনিং–সহ নানাভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন। তদন্তে নেমে সেই সম্পত্তির হিসাবও বেরিয়ে এসেছে। এমনকী কীভাবে বেআইনি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাও এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। সুতরাং এই ২৬৯ জনকে পুনবর্হাল করার সম্ভাবনা কমে আসছে। বরং তাদের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।