বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে সবাই চায়। তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। কিভাবে বিয়েবাড়ি সাজানো হবে, খাবারের মেনুতে কী কী থাকবে, কোনদিন কোথায় কোন অনুষ্ঠান হবে, সবই থাকে পরিকল্পনার মধ্যে। সেই মতো প্রস্তুতিও আগে থাকতে শুরু হয়ে যায়।
ইদানীং অনেকেই বিয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনায় পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। দিন দিন পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। ফলে জলবায়ুর উপর খারাপ প্রভাব বাড়ছে। একটি বিয়েতে প্রচুর মানুষ যেমন জড়িয়ে থাকেন, তেমনই থাকে অনেকরকম আয়োজন। এর মধ্যে না চাইতেও বেশ কিছু আয়োজন থেকে পরিবেশ দূষিত হয়। পরিবেশবান্ধব উপায়ে আয়োজন করা গেলে দূষণের পরিমাণ অনেকটা এড়ানো যায়। তেমন কয়েকটি পদ্ধতির হদিশ দিচ্ছেন অনুষ্ঠান আয়োজন বিশেষজ্ঞরা।
থিম ওয়েভার ডিজাইনস-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেরণা আগরওয়াল সাক্সেনা এমন কয়েকটি অভিনব উপায়ের কথা জানাচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে পরিকল্পনা করলে বিয়ের দিনগুলো সম্পূর্ণ অন্যরকম সুন্দর হয়ে উঠবে।
১. পরিবেশবান্ধব উপকরণ বেছে নেওয়া: পরিবেশবান্ধব বিয়েবাড়ি মানেই যে ছোট করে আয়োজন করতে হবে, তেমনটা নয়। বরং বড় করেও পরিবেশবান্ধব বিয়েবাড়ির আয়োজন করা যায়। মন্ডপ ও বিয়ে বাড়ি সাজানোর কাজে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করুন। বিয়েবাড়ি সাজাতে যে ধরনের কাপড় ব্যবহার করা হয় তার বদলে ব্রিদেবল ফ্রেবিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া পুনরায় ব্যবহার করা যায় এমন উপকরণ দিয়ে সাজালে তা অনেকেরই নজর কাড়বে।
২. আঞ্চলিক জিনিস ব্যবহার: বিয়েবাড়ি সাজাতে নিজের এলাকায় তৈরি রকমারি হাতের কাজের জিনিস ব্যবহার করা যায়। দূর থেকে সাজানোর জিনিস আনাতে হলে গাড়ি ছাড়া কাজ হয় না। এতে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই যত বেশি আঞ্চলিক উপকরণ ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।
৩. বিয়ের স্থান: এখন অনেকেই বিয়েবাড়ি ভাড়া নেওয়ার বদলে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে ভালোবাসেন। বাগান বা সুন্দর লনে বিয়ের আয়োজন করলে দূষণ অনেকটাই এড়ানো যায়। অতিরিক্ত আলো ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হয় না বলে দূষণের পরিমাণ অনেকটাই কমে। এছাড়া বিয়ের দিনটাও অন্যরকম স্মরণীয় হয়ে থাকে।
৪. কৃত্রিম ফুল: কৃত্রিম ফুল বারবার ব্যবহার করা যায়। তাই এই ধরনের ফুল সাজানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে একবার ব্যবহারের পর ফুল ফেলে দিতে হয় না। সঠিকভাবে না ফেলা হলে ফুল থেকেও দূষণ ছড়াতে পারে।