Jagdeep Dhankhar to Sonia Gandhi: ‘গণতন্ত্রে অনাস্থার ইঙ্গিত’, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে সোনিয়াকে কড়া জবাব ধনখড়ের

এর আগে সোনিয়া গান্ধীর নাম না করেই নিজের সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। আজ সরাসরি ‘ইউপিএ চেয়ারপারসনে’র নাম নিয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ধনখড়। সোনিয়াকে জবাব দিতে ধনখড় আজ বলেন, ‘২১ ডিসেম্বর ইউপিএ-র চেয়ারপারসনের দেওয়া বিবৃতির দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। এই সংসদের প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। সংসদের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের জন্য জরুরি। তা নিয়ে কোনও আপস করা চলে না। আমি সে দিকেই জোর দিয়েছিলাম। বিচারবিভাগকে খাটো করা আমার কল্পনার অতীত। এই চেয়ারে বসে আমি রাজনৈতিক মতামতের দ্বারা পরিচালিত হব না।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, সোনিয়ার সঙ্গে তিনি সহমত পোষণ করেন না। এই আবহে তাঁর বার্তা, ‘সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যেন কোনও পক্ষপাতের অভিযোগ না তোলা হয়।’

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে জগদীপ ধনখড় প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন যে মোদী সরকার বিচার বিভাগের বৈধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে ‘সাংবিধানিক পদে’ থাকা ব্যক্তিকে মাঠে নামিয়ে বিচার বিভাগের ওপর আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি সরকার। সোনিয়ার সেই সমালোচনার জবাব দেন উপরাষ্ট্রপতি। আজ এই বিষয়ে নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করলেন জগদীপ ধনখড়। ধনখড়ের কথায়, ‘ইউপিএ সভানেত্রীর মন্তব্যে গণতন্ত্রে অনাস্থার ইঙ্গিত রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সংসদের সদ্য সমাপ্ত হওয়া শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ধনখড়। সেদিন তিনি কলেজিয়াম নিয়ে বলেছিলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে ঐতিহাসিক জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন বিল পাশ হয়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই বিল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপসের একটি উদাহরণ ছিল সেটি। মানুষের রায়কে অস্বীকার করা হয় সেই রায়ের মাধ্যমে।’ ধনখড়ের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোনিয়া গান্ধী বলেছিলেন, ‘বিচারবিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে খাটো করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রীদের সঙ্গে সাংবিধানিক পদে থাকা এক ব্যক্তিকে দিয়ে বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে বক্তৃতা পেশ করাচ্ছে সরকার। মানুষের চোখে বিচারবিভাগকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সামনে কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতিও। উল্লেখ্য, এক সময় তিনি নিজে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন।