Jalpaiguri Suicide: হবু স্ত্রীকে গায়ের রং নিয়ে খোঁটা! ভিডিয়ো কলেই চরম সিদ্ধান্ত যুবকের

পাঁচ বছর ধরে প্রেম। এবার তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ভিডিয়ো কলে কথা বলতে বলতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। তবে কেন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন যুবক?‌ সেচা এখনও স্পষ্ট নয় কারও কাছে।

ঠিক কী ঘটেছে জলপাইগুড়িতে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম জয়নুল হক (‌২০)‌। রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গধেয়া এলাকার বাসিন্দা। পাঁচ বছর ধরে বেলাকোবা এলাকার যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জয়নুলের। সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেছিল। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হবু স্ত্রীকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন জয়নুল। হবু স্ত্রী কথা বলছিলেন কিন্তু মুখ দেখাতে চাইছিলেন না। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথাকাটি হয়। আর কথা বলার মাঝেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন যুবক। যুবতী মোবাইল ফোনে এসব নিষেধ করলেও লাভ হয়নি।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম জয়নুল হক (‌২০)‌। আর এই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা খবর দেয় পুলিশে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই যুবক–যুবতীর মধ্যে বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে আত্মঘাতী হন জয়নুল। তখন ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে চিৎকার করতে থাকেন তরুণী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ জয়নুলের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলেও অন্য একজনের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে। কিছু ছবিও আসে ছেলের মোবাইলে। জয়নুল তা নিয়ে প্রশ্ন করলে বিয়ে ভেঙে দিতে চান মেয়েটি। তাই অবসাদে আত্মঘাতী হন জয়নুল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মেয়ের পরিবার। তাঁদের দাবি, গায়ের রং কালো বলে হবু স্ত্রীকে খোঁটা দিত জয়নুল। তাই যুবককে মুখ দেখাতে চাইত না যুবতী। এদিনও তাই ঘটেছিল। অভিমানে যুবতী বলেছিলেন সামনে আসবেন না। পরে যখন জয়নুল আত্মহত্যার হুমকি দেন, তখন মুখ দেখান যুবতী। চিৎকার করে বাধাও দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।