Legalization of Marijuana: মারিজুয়ানা সেবন বৈধ হোক, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এল নাগরিকদের আজব দাবি

বর্তমান প্রজন্মের নেশা করার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এক বা দুরকম নেশা নয়, বিভিন্নরকম নেশার জিনিস তারা নানাভাবে জোগাড় করে ও নিয়মিত নেশা করে। এছাড়াও নেশার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মেও নাম উঠে যাচ্ছে তাদের। সারা বিশ্বের তরুণদের মধ্যেই এই প্রবণতা বাড়ছে। একইসঙ্গে তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানারকম রোগ।

এই সমস্যা কতটা গভীর, তার একটি উদাহরণ হল আমেরিকার সাম্প্রতিক অবস্থা। সে দেশে বাইডেন শাসনক্ষমতা পাওয়ার পর মারিজুয়ানা বা গাঁজা সেবন করেন এমন সমস্ত নেশাড়ুদের প্রশাসনের তরফে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। ঘটনা শুধু এটুকুতেই সীমিত নয়। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত অক্টোবরে নাগরিকদের উপর একটি সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষার রিপোর্টই বাড়িয়েছে উদ্বেগ। দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ মানুষই চান,সরকার মারিজুয়ানাকে আইনত বৈধ ঘোষণা করুক। এমন মানুষের সংখ্যা ৮৮ শতাংশ। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ এমনটা চান না। তাদের কথায়, মারিজুয়ানা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর ড্রাগ। এটি আইনত বৈধ ঘোষণা করলে সমাজের আরও বেশি ক্ষতি হবে। তবে ৮৮ শতাংশের মত সম্পূর্ণ আলাদা। তাদের কথায়, কিছুটা অবসর বা বিনোদনের জন্য এই ড্রাগকে আইনত বৈধ ঘোষণা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, মারিজুয়ানা সেবনের ফলে নেশাড়ুর মানসিক সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল থ্রম্বোয়ানজাইটিস অবলিটেরানস। এই রোগে প্রায়ই মারিজুয়ানা সেবনকারীরা আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ব্যক্তির হাত ও পায়ের পাতা ফুলে যায়। শিরাতে প্রদাহ হওয়ার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পা ও হাতের শেষ প্রান্তগুলোয় রক্ত পৌঁছাতে পারে না।

তবে বেশকিছু রাজ্য মারিজুয়ানা সেবনকারীদের এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন। সম্প্রতি রোড আইল্যান্ড তাদের ক্যানাবিস অ্যাক্ট মারফত এই ড্রাগকে আইনত বৈধ ঘোষণা করেছে।

এর মধ্যে কিছুটা ধর্মীয় প্রভাব রয়েছে, এমনটাও জানাচ্ছে সমীক্ষা। দেখা গিয়েছে, যেসব তরুণরা স্বাধীন জীবনযাপন করেন, তারাই এমন প্রস্তাবে সবচেয়ে বেশি সমর্থন জানাচ্ছেন। অন্যদিকে ধর্মে বিশ্বাস করেন, এমন মানুষরাই এই প্রস্তাবের বিরোধী। এর থেকে সম্পূর্ণ ঘটনাটা অন্য মাত্রা পাচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।