Trinamool Condemns Kirti Azad: মোদীকে আক্রমণ করায় নিজের খেলোয়াড়কেই প্যাভিলিয়নে পাঠাল তৃণমূল

উত্তরপূর্ব সফরকালে নরেন্দ্র মোদীর মেঘালয়ের পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। সেই ঘটনায় এবার নিন্দা জানাল তাঁরই দল। মোদীকে নিয়ে করা কীর্তির টুইটের সমালোচনা করে তৃণমূল জানিয়েছে, তারা সব রাজ্যের, সকল সংস্কৃতিকে সম্মান করে। দলের তরফে বলা হয়, ‘ভারতের বৈচিত্র্য এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতিকে সম্মান করে তৃণমূল।’ এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে লেখা হয়, ‘গর্বিতভাবে, আমরা বিভিন্ন মানুষের জাতিগত ঐতিহ্য উদযাপন করি এবং তাদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করি। আমরা কীর্তি আজাদের মন্তব্যকে সমর্থন করি না এবং এর তীব্র নিন্দা জানাই। তাঁর বক্তব্যে দলের মতামতের প্রতিফলন হয় না।’

সম্প্রতি শিলং সফরে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী খাসি পোশাক পরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে সেই পোশাক নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে টুইট করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। কীর্তি লেখেন, ‘না নর, না নারী, তিনি কেবল ফ্যাশনের পূজারী।’ কীর্তির এই টুইটের জেরেই চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ের সংস্কৃতির অসম্মান করেছে। এদিকে বিজেপি আদিবাসী মোর্চার তরফেও তৃণমূলের সমালোচনা করা হয়েছে। এই আবহে এবার তৃণমূল কংগ্রেস এই টুইটের সঙ্গে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করল।

প্রসঙ্গত, মেঘালয়ে বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে বিধায়ক বাগিয়ে এই মর্যাদা অর্জন করেছে ঘাসফুল শিবির। আগামী বছর এই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে কীর্তির এহেন মন্তব্যকে যে বিজেপির তরফে হাতিয়ার বানানো হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও কীর্তি আজাদের দাবি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর পোশাকের অসম্মান করছিলেন না, বরং তিনি মোদীর ফ্যাশনের বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। বিতর্ক সত্ত্বেও তিনি প্রথমে সেই টুইট ডিলিট করেননি। পরে অবশ্য তিনি সেই টুইটটি মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, নিজের টুইট বার্তায় মোদীর শিলং সফরের একটি ছবির পাশে আরও একটি ছবি শেয়ার করেছেন কীর্তি। সেই ছবিটি কোনও এক অনলাইন শপিং সাইটের। সেখানে মোদীর মতো একটি পোশাক পরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। ছবির ওপরে লেখা – পছন্দ হয়েছে? তাহলে কিনে ফেলুন। অনলাইনে সেই পোশাকটির দাম দেখাচ্ছিল ৩৫ ডলার।