ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিয়ো সবাইকে দেখিয়ে দেব, টাকা চেয়ে চাপ যুবককে, পাকড়াও তরুণী

প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। আর সেই প্রেমের আড়ালেই লুকিয়ে রাখা ছিল প্রতারণার ফাঁদ। আর সেই ফাঁদেই শিকার হলেন এক যুবক। ঠিক কী হয়েছিল ব্যাপারটা?

সম্প্রতি এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই তরুণীর। গল্ফগ্রিনের অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ক্রমশ এগোতে থাকে। এরপর গত ১০ অক্টোবর ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা হয় যুবকের। এরপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হয়। এদিকে দুজনেই যখন একই বিছানায় পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন তখন গোটা বিষয়টি ভিডিয়ো করেন ওই তরুণী। তবে এনিয়ে ওই তরুণী কোনওভাবেই যুবককে জানাননি। একেবারে ঘনিষ্ঠ সময়ের ভিডিয়ো করেন ওই তরুণী। এরপর শুরু হল আসল খেলা।

শুরু হয় ব্ল্যাক মেলিং। তরুণী ওই যুবককে জানিয়ে দেয় তাকে ১৭ হাজার টাকা দিতে হবে। না হলে সেই ঘনিষ্ঠ সময়ের ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হবে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এরপরই শুরু হয় চাপ দেওয়ার কাজ।

ক্রমেই বাড়তে থাকে চাপ। আর এরপর ধাপে ধাপে ওই যুবক বুঝতে পারেন ফাঁদে পড়েছেন তিনি। চাপ বলে চাপ। টাকা না দিলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার জন্য চাপ। এরপর আর কোনও পথ না দেখে ওই যুবক গল্ফগ্রিন থানার দ্বারস্থ হন।

এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় এক তরুণী ও এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ওই তরুণী এর আগেও একাধিক যুবকের সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ।

একেবারে চেনা কায়দা। যুবককে ছলায় কলায় বিছানায় নিয়ে যাওয়া। এরপর তাকে ফাঁদে ফেলা। গোপন ভিডিয়ো ফাঁস করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা। এদিকে আর কাদের সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করেছে ওই তরুণী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার হওয়া অপর যুবকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে এই ধরনের ডেটিং অ্য়াপ ব্যবহার করে অচেনা তরুণীর সঙ্গে আলাপ করে সম্পর্ক স্থাপন করা কতটা বিপজ্জনক সেটাও এবার সামনে এসেছে। সেক্ষেত্রে এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বলেও মনে করছেন অনেকেই।