Protest in Jadavpur University: JU সমাবর্তনে রাজ্যপালের সামনে বিক্ষোভ SFI-র, ‘যা করার, করব’, বললেন বোস

তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই আবহে নির্বাচনের দাবিতে রাজ্যপালের উপস্থিতিতেই বিক্ষোভ প্রদর্শন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। এসএফআই-এর পতাকা হাতে বিভিন্ন ইস্যুতে স্লোগান তোলেন তরুণ-তরুণীরা। কয়েকদিন আগেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও এই একই ভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই একই ভাবে এবার ছাত্র সংসদের ভোটের দাবিতে স্লোগান উঠতে দেখা গেল যাদবপুরে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেষ ছাত্র সংসদের ভোট হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর করোনা আবহে দেড় বছর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। পরে ক্যাম্পাস খুললেও আর নির্বাচন হয়নি। এই আবহে বিক্ষোভকারী এসএফআই সদস্যদের অভিযোগ, ইউনিয়নকে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার একটা প্রয়াস চলছে।

উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বরাবরই সাক্ষী থেকেছে বিভিন্ন প্রতিবাদের। এর আগে ২০১৪ সালে মঞ্চে উঠে নিজের নিতে অস্বীকার করেছিলেন এক ছাত্রী। সেই সময় ‘হোক কলরব’ আন্দোলনে উত্তাল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালেও এই একই ভাবে মঞ্চে উঠে স্বর্ণপদক নিতে অস্বীকার করেছিলেন দেবস্মিতা চৌধুরী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিলিপি ছেঁড়া হয়েছিল। তবে এভাবে প্ল্যাকার্ড দেখিয়ে স্লোগান তোলার ঘটনা হয়ত সাম্প্রতিক ইতিহাসে এই প্রথম। ছাত্র সংগঠনে ফেটসুর চেয়ারম্যান অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা, তাঁকে সব জানানো। আজ যেহেতু উনি এসেছেন, তাই আমরা ফেটসুর তরফে ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরি। বোঝানোর চেষ্টা করি যে আমরা কতটা বিপন্ন। ভোট না হলে কী কী সমস্যা হয়। উনি আশ্বস্ত দিয়েছেন যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তিনি বোঝেন, যা করার করবেন।’

রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ নম্বর গেট ঢোকার সময় পড়ুয়ারা তাঁর গাড়ির সামনে স্লোগান তোলেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, রাজ্যপালকে অসম্মান করার কোনও ভাবনা তাঁদের মনে নেই। তাঁরা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ভোট করানোর দাবি জানাচ্ছেন। এদিকে রাজ্যপাল বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আগে ছাত্রদের রাজ্যপাল তাঁদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করার পরই তিনি ডেকে নেন ২ ছাত্রকে। এসএফআই নিজেদের দাবি তুলে ধরে তাঁর সাম।