Covid Test: নাগা সাধুদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা, কেন হঠাৎ এমন পদক্ষেপ?‌

আবার আতঙ্ক তৈরি করেছে করোনাভাইরাস। আর তা নিয়ে বেশ চর্চা শুরু কলকাতা। তার মধ্যে আজ, রবিবার বড়দিন। মহানগরী ভেসে উঠেছে উৎসবে। তার উপর শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। তাই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত দু’বছর মারণ ভাইরাসের কারণে গঙ্গাসাগরে সাধুদের ভিড় ছিল তূলনামূলক কম। তবে চলতি বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ পুণ‌্যার্থীর আগমন হবে। তার আগে কলকাতার বাবুঘাট অঞ্চলে বসে থাকেন নাগা সাধুরা। এবার এই সাধুদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করবে কলকাতা পুরসভা।

ঠিক কী বলছেন মেয়র?‌ করোনাভাইরাস পরীক্ষার সঙ্গে মাস্ক ও স‌্যানিটাইজারের ব‌্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌গঙ্গাসাগরে মাইকিং করার ব্যবস্থা রাখা হবে। কোনও উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করতে পারবেন পুণ‌্যার্থীরা। আগামী ১২ জানুয়ারি ইডেন গার্ডেন্সে ইন্ডিয়া–শ্রীলঙ্কার ম‌্যাচ আছে। পার্কিং নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে সাধুদেরও।’‌

কেন এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে?‌ এদিকে নাগা সাধুরা এখানে এসে খাবার রান্না করে খান। তাঁদের প্রস্রাব, পায়খানা থেকে দূষণ তৈরি হয়। ভিন রাজ্য থেকে আসায় করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে তাঁদের মাধ্যমে। তাই প্রিন্সেপ ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাটে একাধিক বায়ো টয়লেটের ব‌্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। মেয়র জানান, ২০২৩ সালে শহরে আয়োজিত হতে চলেছে জি–২০ সম্মেলন। এখানে দেশ-বিদেশ থেকে অতিথিরা আসবেন। সেদিকে নজর রেখে কনজারভেন্সি ডিপার্টমেন্ট ২০০ সাফাইকর্মী নিয়োগ করছে।

উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে বহু নাগা সাধু এখানে এসে ভিড় জমান। সেখান থেকে যাতে ভাইরাস না ছড়ায় তার জন্য কলকাতা পুরসভার কর্মীরা তাঁদের পরীক্ষা করবেন। তাছাড়া সাফাইকর্মীরা প্রিন্সেপ ঘাট, বাবুঘাট এলাকা পরিষ্কার করবেন। একাধিকবার এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের কাজ হবে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার একজন, গুজরাটে দু’জনের দেহে নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাস মিলেছে। তাই মেয়র মাস্ক পড়ার অনুরোধ করেছেন।