Died Jawan Body: বড়দিনের উৎসবেই বিষাদের সুর বাঁকুড়ায়, সিকিমে মৃত সেনার দেহ এল গ্রামে

বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। তবে তার মধ্যেই বিষাদের সুর শোনা গেল বাঁকুড়ায়। আজ, রবিবার সিকিমে মর্মান্তিক পথে দুর্ঘটনায় মৃত জওয়ান গোপীনাথ মাকুড়ের দেহ তাঁর বাঁকুড়ার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছল। বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকা গ্রামে জওয়ানের বাড়িতে তাঁর দেহ আনা হয়। মৃত সেনা কর্মীর সহকর্মীরা মৃতদেহবাহী গাড়ি নিয়ে আসেন সেখানে। চোখের জলে বিদায় জানান তাঁরা সহকর্মীকে।

সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, প্রথমে সিকিম থেকে গোপীনাথের দেহ বিমানে করে বাগডোগরায় নিয়ে আসা হয়। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে পানাগড় সেনা ছাউনি হয়ে মৃত সেনাকর্মীর দেহ এসে পৌঁছয় তাঁর গ্রামের বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিন মৃত জওয়ানের বাড়ির সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়। সকলেই তাঁদের প্রিয় মানুষটিকে একবারের জন্য শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন। তারপর জাতীয় পতাকা দিয়ে মরদেহ ঢেকে ফুল আর মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সকলে। তারপর গান স্যালুটের মাধ্যমে মৃত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উত্তর সিকিমের জেমা এলাকায় ২০ জন সেনা জওয়ানকে নিয়ে তিনটি ট্রাকের কনভয় উত্তর সিকিমের চাটেন থেকে থাংগুর দিকে যাচ্ছিল। তখন খারাপ আবহাওয়ার জন্য ওই সেনা কনভয়ের মাঝের একটি ট্রাক রাস্তায় বাঁক নিতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তারপর ট্রাকটি ধাক্কা খেয়ে ছিটকে সোজা খাদে উলটে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই ট্রাকে সফররত তিনজন জুনিয়র কমিশন অফিসার–সহ ১৬ জন ভারতীয় জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখানেই ভালুকা গ্রামের গোপীনাথ মাকুড় নামে এক সেনাকর্মীও ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন গোপীনাথ। তিনি রেখে গেলেন তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী, ১১ বছরের একটি পুত্রসন্তান, ভাই এবং ভ্রাতৃবধূকে। গত অগস্টেই শেষবারের মতো বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছিলেন গোপীনাথ। আগামী মার্চ মাসে ফিরে বাঁকুড়া শহরের জুনবেদিয়ায় নির্মীয়মান বাড়িতে গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই এই দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল।