IND Vs BAN 2nd Test: Ravichandran Ashwin And Shreyas Iyer Secures India Win Despite Mehidy Hasan Miraz Heroics


ঢাকা: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট (IND vs BAN 2nd Test) ম্য়াচ জিততে চতুর্থ দিনে ভারতীয় দলকে ১০০ রান করতে হত, হাতে ছিল ছয় উইকেট। বাংলাদেশি স্পিনার, বিশেষত মেহেদি হাসান মিরাজের (Mehidy Hasan Miraz) দাপটে একসময় পরাজয়ের আশঙ্কা তৈরি হলেও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) ও শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) প্রতিআক্রমণাত্মক পার্টনারশিপে ভর করে তিন উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারতীয় দল। প্রথম টেস্ট ম্যাচেও ভারতই জয় পেয়েছিল। এই টেস্ট ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের নামে করল টিম ইন্ডিয়া।

শুরুতেই ভরাডুবি

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ভারতের স্কোর ছিল চার উইকেটের বিনিময়ে ৪৫ রান। বিরাট কোহলি (১), কেএল রাহুল (২), চেতেশ্বর পূজারারা (৬) ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হন। ভারতের হয়ে অক্ষর পটেল ও নাইট ওয়াচম্যান জয়দেব উনাদকাট ক্রিজে ছিলেন। বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক লিটন দাস দিনের খেলা শেষে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, চতুর্থ দিনের সকালে দ্রুত উইকেট তুলতে পারলেই বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচ জেতাটা একেবারেই কঠিন নয়। ওপার বাংলার দল নিজেদের লক্ষ্যে সফলও হন। উনাদকাটকে ১৩ রানে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম ধাক্কাটি দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান।

প্রতিআক্রমণে জয়

ওয়ান ডে সিরিজে ভারতকে হারানোর পিছনে মেহেদি হাসান মিরাজের সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল। তিনি ফের একবার বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতার বড় সুযোগ করে দেন। পরপর দুই ওভারে ঋষভ পন্থ (৯) ও সেট অক্ষরকে (৩৪) সাজঘরে ফেরত পাঠান মিরাজই। ৭৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল টিম ইন্ডিয়া। এই সময়ই ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার ও অশ্বিন। প্রথমে বাংলাদেশি স্পিনারদের জমাটি ডিফেন্স দিয়ে কিছুটা থামান, তারপরেই প্রতিআক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দুইজনে মিলে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেন।

চাপের মুখেই মিরাজ ও শাকিবের বিরুদ্ধে আক্রমণের শুরুটা করেন শ্রেয়সই। এরপরে ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অশ্বিনও ব্যাট চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্য়েই হু হু করে জয়ের জন্য রানের ব্যবধান কমে আসে। অশ্বিন ও শ্রেয়স ভারতের জয় সুনিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। দুইজনে মিলে অষ্টম উইকেটে অপরাজিত ৭১ রান যোগ করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ পাঁচ উইকেট নিলেও বাংলাদেশকে শেষমেশ হারতেই হল। দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ জিতল টিম ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন: কোহলির ব্যাটে রানের খরা, ফিরল ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের স্মৃতি