Mohammed Salim’s ‘DOG’ statement on DIG: ‘দালালি করে DOG হয়েও না’, DIG-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মহম্মদ সেলিমের

তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সেটিং নিয়ে সরব হয়ে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার হুগলির পান্ডুয়ার শান্তিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সর্বভারতীয় ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের এক সভায় পুলিশি নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরাসরি ডিআইজি-কে আক্রমণ শানান মহম্মদ সেলিম। হুমকির সুরে বলেন, ‘আইন মেনে চলো। দালালি কোরো না। ডিআইজি আছো, ডিআইজি থাকো। ডি-ও-জি (কুকুর) হওয়ার চেষ্টা করো না।’ তাঁর অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বাম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশ।’ এদিকে বিজেপি ও তৃণমূলের ‘বোঝাপড়া’ নিয়ে সেলিম এদিন বলেন, ‘তৃণমূল ও বিজেপি হল চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’

মহম্মদ সেলিম শনিবার বলেন, ‘এক দিকে বিজেপি স্ট্যান স্বামী থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করছে মোদী সরকার। অন্য দিকে, বাংলায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বাম কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশ। একেই বলে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। তাই অমিত শাহ নবান্নে গেলে জামাই আদর পান।’ সেলিমের প্রশ্ন, ‘মোদী যদি সত্যিই দুর্নীতি রুখতে চাইতেন তা হলে এত দিনে সারদার নায়করা জেলের পিছনে থাকতেন। মানুষ জানতে চায় কেন তা হল না?’

পাশাপাশি অনুব্রতর নামে নয়া মামলা প্রসঙ্গে সেলিমের দাবি, ‘অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কারণ তিনি দিল্লি গিয়ে পিসি-ভাইপোর চুরির খবর বলে দেবেন। তাই মনগড়া মামলা করে অনুব্রতকে এখানেই আটকে রাখা হচ্ছে।’ এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক দাবি করেন, রাজ্যে লাল ঝড় উঠেছে। তিনি বলেন, ‘মানুষ বুঝতে পারছেন, লাল ঝান্ডাই একমাত্র সহায়। তাই যাঁরা এখনও দূরে দাঁড়িয়ে ভাবছেন, তাঁরাও আসুন। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির জোড়া কাঁটাকে উপড়ে ফেলি।’

উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও সিপিএম-এর মুখে ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হাতে ফেরার পর সিপিএম-এর অনেকেই মেনে নিয়েছিলেন, বিজেমূল তত্ত্ব খাড়া করে তারা ‘ভুল করেছেন’। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের একবার সেই বিজেমূল তত্ত্বই শোনা গেল বাম নেতার মুখে। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই জনসংযোগ বৃদ্ধিতে বাম নেতারা বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। বিগত এক বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে বামেদের সক্রিয়ভাবে রাস্তায় নামতেও দেখা গিয়েছে। বাম ছাত্র-যুবদের এক মিছিলে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা ধর্মতলা চত্ত্বর। এই সাড়া পেয়েই ফের বিজেমূল তত্ত্বে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে মত অনেক বিশ্লেষকেরই।