Rampurhat: দিদিকে ডিভোর্স দিতে চাননি জামাইবাবু, বাড়িতে গিয়ে খুন করল শালা ও বন্ধুরা!

দিদিকে ডিভোর্স দিতে চাননি জামাইবাবু। সেই ক্ষোভে জামাইবাবুর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করল শালা এবং তার বন্ধুরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুর এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম কৃষ্ণ কর্মকার। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তথা কৃষ্ণ কর্মকারের শালা রাহুল মাল এখনও পলাতক রয়েছে। তবে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল মালের বোনের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কৃষ্ণ কর্মকারের। তাদের ২ সন্তান রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাংসারিক অশান্তি চলছে। অভিযোগ, বিশাল মালের বোন কৃষ্ণের সঙ্গে সংসার করতে চাইছিলেন না। তিনি তাঁকে ডিভোর্স দিতে চাইছিলেন। কিন্তু, দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে ডিভোর্সে রাজি ছিলেন না কৃষ্ণ। শুক্রবার রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় আচমকা বিশাল মাল তার বন্ধ রাহুল পাণ্ডে সহ আরও বেশ কয়েকজনে নিয়ে আসে। তাদের বাধা দেয় কৃষ্ণের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, তারা বোঝানোর নাম করে কৃষ্ণ কর্মকারের ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপরে বড় তরবারি দিয়ে তার গলায় কোপ মারে।

ঘটনার পর বাকিরা পালিয়ে গেলেও রাহুল পাণ্ডেকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তাকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। এদিকে কৃষ্ণকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। রাহুলকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেন। মৃত কৃষ্ণ কর্মকারের ভাই রাজীব কর্মকার জানান, ‘আমার ভাই ডিভোর্স দিতে চাইনি। সংসার করতে চাইছিল। কিন্তু বৌদি ডিভোর্স চাইছিল।’ তাঁর অভিযোগ, বৌদির সঙ্গে অন্য কারও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণে ডিভোর্স দিতে চাইছিলেন তাঁর বৌদি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পাশাপাশি বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।