Santa: আপনার বাচ্চা কি সান্তা সেজে স্কুলে যায়? সাবধান! জেনে নিন VHP’র নয়া ফতোয়া

পৌলমী ঘোষ

বড়দিনে সান্তার মতো করে সাজে অনেকেই। স্কুলে স্কুলে পড়ুয়ারা সান্তার মতো পোশাক পরে আসে। এটাই বড়দিনের পরিচিত ছবি। মাথায় লাল টুপি, পরনে লাল পোশাক পরে স্কুলে আসে শিশুরা। বড়দিনে এই ছবি দেখতে অভ্যস্ত ভারতবাসী। কিন্তু সেখানেও এবার বিধিনিষেধ জারি করতে চাইছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। মধ্যপ্রদেশের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ থেকে কার্যত এনিয়ে ফতোয়া জারি করা হয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে, হিন্দু ছাত্রদের একদম সান্তা ক্লজের মতো পোশাক পরার জন্য় বলবেন না। তাছাড়া তাদের অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া Christmas tree আনতে বলবেন না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিছুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে স্কুলগুলি পড়ুয়াদের সান্তাক্লজ সেজে আসতে বলছে। বড়দিন উদযাপনের জন্য এই ধরনের পোশাক পরে আসতে বলছে। কিন্তু এটা হিন্দু সংস্কৃতির উপর একটা আঘাত।

ভিএইচপির দাবি, হিন্দুদের সন্তানরা রাম, কৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ, মহাবীর, গুরু গোবিন্দ সিংয়ের মতো সাজতে পারে। কিন্তু কোনওভাবেই সান্তা সাজতে দেবেন না। এর সঙ্গেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত সন্তদের দেশ। এটা সান্তার দেশ নয়।

এর সঙ্গেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সমস্ত স্কুলকে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া কোনওভাবেই বাচ্চাদের সান্তা সেজে আসতে বলবেন না। আর কোনও স্কুল যদি এসব করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এবার বড়দিনের উৎসবে স্কুলে সান্তা সাজা নিয়েও আপত্তি করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাদের দাবি এটা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের সমান। তবে এই ধরনের ফতোয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।

এদিকে তেলেঙ্গানার হেল্থ ডিরেক্টর ডি শ্রীনিবাসা রাও জানিয়েছিলেন, যীশু কোভিড দূর করেছিলেন। এনিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছিল ভিএইচপি। তাঁর ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছিল VHP। সংগঠনের মুখপাত্র বালাস্বামী এএনআইকে জানিয়েছিলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ওই স্বাস্থ্য কর্তার ইস্তফা চাইছে। কারণ তিনি হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। তিনি হিন্দু ধর্মের দেবদেবীকেও অপমান করেছেন। তাঁকে অবিলম্বে পদ থেকে সরাতে হবে।

পরে অবশ্য এনিয়ে সাফাই দিয়েছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা। তাঁর দাবি ছিল তাঁর বক্তব্যকে বিকৃত করে পরিবেশন করা হয়েছে। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, সরকারের প্রচেষ্টাতেই কোভিড দূরীভূত হয়েছে। সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা এতে সহায়তা করেছিলেন। সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রার্থনার জোরে এটা সম্ভব হয়েছে।