Diabetes and Weight Control: এই চালের ভাত খেলে কমবে ওজন, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবিটিস

ওজন নিয়ে এখন অনেকেই সচেতন। বেশি ওজনের জন্য নানারকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন কমাতে অনেকেই নানারকম চেষ্টা করেন। প্রিয়জন ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, খাবারেও লাগাম টানতে হয়। প্রথমেই তালিকা থেকে ভাত বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে ভাত নিয়ে অনেকের মনে বেশ দুর্বলতা রয়েছে। অন্তত একবেলা ভাত না খেলে অনেকের মনের তৃপ্তি হয় না। আবার, ভাতই অনেকের কাছে পেট ভরানোর খাবার। তাই প্রথমেই ভাত বাদ রাখতে হলে অনেকেই বেশ মন খারাপ করেন। তবে, চিকিৎসকের কথায়, মন খারাপ করার কোনও দরকার নেই। একটি বিশেষ ধরনের ভাত খেলে মোটেই ওজন বাড়ে না। বরং, এটি ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ঢেঁকিছাঁটা চাল শরীরের জন্য বেশ উপকারী। সাধারণ পালিশ করা চালের প্রতি অনেকেরই টান রয়েছে। তবে এই চালের থেকে বেশি পুষ্টিকর হল ঢেঁকিছাঁটা চাল।

ঢেঁকিছাটা সিদ্ধচালের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১২.৬ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৯ খনিজ গ্রাম, প্রেটিন ৮.৫ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৭৭.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালোরি) ৩৪৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলি গ্রাম, লৌহ ২.৮ গ্রাম। এছাড়াও এই চালে ক্যারোটিনের পরিমাণ ৯ মাইক্রোগ্রাম ও ভিটামিনের পরিমাণ ০.৩৯ মিলিগ্রাম।

বিশ্বজুড়ে ডায়াবিটিস বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণটি হল পালিশ করা চালের ভাত খাওয়া। এর বদলে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে ডায়াবিটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। ঢেঁকিছাঁটা চাল খেলে তাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ঠিক থাকে। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই পুষ্টির দিকটিকে অবহেলা করেন। চিকিৎসকের কথায়, এই চাল শরীরে পুষ্টির পরিমাণও ঠিক রাখে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, চালের উপরিভাগে বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান থাকে। চাল পালিশ করার ফলে এই অংশটিই চাল থেকে হারিয়ে যায়। এতে পুষ্টির পরিমাণও যায় কমে। একসময় গ্রামগঞ্জ বা শহর সব জায়গার মানুষরাই ঢেঁকিছাঁটা চাল খেতেন। তবে বর্তমানে পালিশ করা চালের যুগ। ফলে ঢেঁকিছাঁটা চাল খাওয়ার প্রচলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই চাল খেলে হাঁটু ও কোমরের বিভিন্ন সংযোগের ব্যথাও ধীরে ধীরে কমে যায়।