Lion Kills Minor: জঙ্গল থেকে নিঃসাড়ে বেরিয়ে ৪ শিশু শিকার পশুরাজের! গিরে ১৩ সিংহকে পাকড়াও, আতঙ্কের চোরাস্রোত এলাকায়

মৌলিক পাঠক

সিংহের হানায় পর পর মৃত্যু ঘিরে গুজরাটের গির  সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেখানে ২৩ টির মধ্যে ১৩ টি সিংহকে ধরা হয়েছে বলে খবর। সাধারণত যে ছবি সচরাচর ওই এলাকায় দেখা যায়না সেই ছবিই গির সংলগ্ন এলাকায় উঠে আসছে। সিংহের হানায় এলাকার ৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিংহ ও মানুষের এই লড়াই এলাকায় খুবই বিরল।

গত ১ মাসে ৪ শিশুর মৃত্যু ঘিরে বেশ আতঙ্কের রেশ এলাকা জুড়ে।  জানা গিয়েছে ১৩ টি সিংহকে ধরে দুনাগড়ের শক্করবাগ চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। তাদের সারা জীবনের মতো সেখানে বন্দি দশায় রাখা হবে বলে খবর। এখনও বনদফতর সিদ্ধান্ত নেয়নি যে বাকিদের বনের মধ্যে রাখা হবে কি না তা নিয়ে। সেই বিষয়ে চলছে বৈঠক। সিংহদের বাসস্থান থেকে এভাবে এতগুলি সিংহকে এর আগে গির অরণ্যে ২০১৮ সালে ধরা হয়। সেই সময় ক্যানিয়েন ডিসটেম্পার ভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়েছিল জঙ্গলে। সেই সময় আক্রান্ত হয় বহু সিংহ। সিংহদের রক্ষা করতে তখন চলে ধরপাকড়। এরপর ২০২২ সালে সিংহদের হাতে মানুষের বিপর্যয় নেমে আসতেই তাদের ধরা শুরু হয়। ২০১৮ সালের ঘটনায় গির জঙ্গলে ৩৩ টি সিংহকে ধরা হয়। আর তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে শেষমেশ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, সদ্য ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ১৩ টি ধরা পড়া সিংহের মধ্যে কোনগুলি নরখাদক তা বোঝা যায়নি। ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট এই বিষয়ে পেশ হলে তা নিয়ে পদক্ষেপে যাবে বনদফতর।

জানা গিয়েছে, গুজরাটের গির জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সিংহ গুলি ঢুকে গিয়ে শিশুদের হত্যা করেছে। জঙ্গল সংলগ্ন ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ৪ জন শিশুকে হত্যা করেছে সিংহ। শিশুদের বয়স ৭ থেকে ১৪ বলে জানা গিয়েছে। বহু শিশুকেই সিংহ হানা দিয়েছে তুলোর ক্ষেতের মধ্যে। তাদের বাবা মায়েরা কাজে ব্যস্ত থাকার সময়ই টেনে নিয়ে গিয়েছে সিংহ। অক্টোবর থেকে নভেম্বরের শেষের মধ্যে প্রথম ৩ টি ঘটনা ঘটে যায়। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে সিংহের চতুর্থ শিকারের সময়। প্রথম তিনটি ঘটনা যেখানে ঘটেছিল তার খেকে অনেক দূরে চতুর্থ ঘটনাটি ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিংহের পছন্দের খাবারের তালিকায় সেভাবে মানুষ আসেনা। তবে এক্ষেত্রে সম্ভবত হতে পারে, প্রথমে একটি সিংহ মানুষ হত্যার পর বাকি সিংহরা নিজেদের দাপট জাহির করতে মানুষ শিকার শুরু করেছে। কারণ জঙ্গলের নিয়ম খুব সহজে চেনা যায় না। আপাতত গোটা এলাকা জুড়ে চোরা আতঙ্কের স্রোত বইছে।