Modi-Mamata: জোকা–তারাতলা মেট্রোর উদ্বোধনে মোদী–মমতা, একমঞ্চে কি আসবেন দুই প্রতিপক্ষ?‌

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক তোপ দাগছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা তখন জোকা–তারাতলা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেলেন প্রধানমন্ত্রী–মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং এবার রাজ্য–কেন্দ্রের চিরাচরিত সংঘাত এভাবেই শেষ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩০ তারিখ জোকা–তারাতলা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একমঞ্চে দু’‌জনে আসলে আবার বঙ্গ–বিজেপির কাছে চাপ হয়ে উঠবে।

এই রুট চালু হয়ে গেলে বিপুল পরিমাণ মানুষের উপকার হবে। জোকা থেকে তারাতলা মেট্রোপথ তৈরি হয়েছে কেন্দ্র–রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে। সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকার কথা। এই রুটের উদ্বোধন হলে গেলে শুরু হবে মেট্রো চলাচল। জোকা থেকে ঠাকুরপুর, সখের বাজার, বেহালা চৌরাস্তা এবং বেহালা বাজার পেরিয়ে দ্রুত যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন তারাতলায়। এমনিতেই রাজ্যে ৩০ তারিখ আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তার সঙ্গে এই সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন জুড়ে যাওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ আগামী ৩০ ডিসেম্বর জোকা–তারাতলা মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে আমন্ত্রিত হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যাঁর নামে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশ ঠুকেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মঞ্চে থাকার কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণবের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন রাজ্যসভার সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে তিনি এখানে আসবেন কিনা তা জানা যায়নি। যদিও মঞ্চে থাকার কথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, মালা রায়, মৌসম বেনজির নূর, দোলা সেন–সহ অন্যান্যরা।

তাহলে কি একমঞ্চে আসছেন মোদী–মমতা?‌ অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন। আর সেটা যদি ঘটে তাহলে এক মঞ্চে মোদী–মমতার আসার সম্ভাবনা থাকছে না। তবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর যাত্রী নিয়ে জোকা–তারাতলা পর্যন্ত মেট্রো ছুটবেই। বর্ষশেষের দিনই কলকাতা পাবে নয়া মেট্রো রুট।