সকালে অভিমানে TMC-ত্যাগ, বিকালেই BJP’র সভায় শুভেন্দুর পাশে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বিপ্লব

সকালেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিপ্লব ওঝা। দলের প্রতি ক্ষোভ, অভিমান উগরে দিয়ে তৃণমূল ছেড়েছিলেন বিপ্লব ওঝা। আর বিকালেই সেই বিপ্লবকে দেখা গেল বীরভূমের নলহাটিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায়। মঞ্চে শুভেন্দুর একটি আসন পরেই বসে রয়েছেন বিপ্লব ওঝা। রাজ্য রাজনীতিতে ঝড়় তুলে দিল এই ছবি।

এর আগে বিপ্লব ওঝা বলেছিলেন, আমাকে হয়তো আর তৃণমূলের প্রয়োজন নেই। সেই অভিমানের কথা বলে তিনি দল ছেড়েছিলেন। তবে সেই সময় তিনি বিজেপিতে যাবেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে চাননি। আর বিকালেই দেখা গেল সেই বীরভূমেই বিজেপির সভামঞ্চে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একাসনে বসে রয়েছে। একদিকে যখন অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল জেলের পথে তখনই তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা বিপ্লব ওঝা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দিলেন। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে বিপ্লব ওঝার বিজেপির সভায় আসার ঘটনা ঝড় তুলে দিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।

সকালেই বিপ্লব ওঝা জানিয়েছিলেন, আমাকে সেভাবে কর্মসূচিতে ডাকা হত না। হয়তো আমাকে দলের আর প্রয়োজন নেই। সেকারণে আমি আর সেই দলে থাকতে চাই না। যেখানে আমার প্রয়োজন নেই সেখানে শুধু শুধু তৃণমূল-তৃণমূল করার কোনও বিষয় নেই।

অন্যদিকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি কি শুভেন্দুর সভায় যাবেন? তিনি সেই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি শুভেন্দুর সভায় যাচ্ছেন না। তবে বিজেপিতে এলে সম্মান পাবেন, জানিয়ে দিয়েছিলেন বীরভূমের বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা। তবে কি সেই সম্মানের আশাতেই বিজেপির সভায় যোগ দিলেন বিপ্লব ওঝা? সকালে ঠিক কী জানিয়েছিলেন তিনি?

বিপ্লব ওঝা বলেছিলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, রাস্তা অনেক খোলা থাকছে। তবে এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। অনেক সর্বভারতীয় দল আছে বিজেপি, কংগ্রেস।’ তবে সিপিএমে তিনি যোগ দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন।

বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন বিপ্লব ওঝার। ২০০৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দল বদল করায় পুরসভাটি তৃণমূলের দখলে চলে যায়। ২০১২ সাল পর্যন্ত পুরপ্রধান ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়ে হেরে যান। তবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা হিসাবেই তিনি পরিচিত ছিলেন বীরভূমের রাজনীতিতে। আর অনুব্রত জেলে যেতে বিজেপি মুখী হলেন তাঁরই ছায়াসঙ্গী।