Gujarat: গুজরাটের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২ ছাত্রের নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক, সরব VHP

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে দুই ছাত্রের নামাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি গুজরাটের ভাদোদরা শহরের মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমএসইউ)। সোমবার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নামাজ পড়ছেন দুই ছাত্র। উল্লেখ্য, দুদিন আগেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সংস্কৃত কলেজ চত্বরে এক দম্পতির নামাজ পড়ার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এরপরে নামাজ পড়ার জায়গায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে এবং হনুমান চল্লিশা পাঠ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তারা এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এই দুই ছাত্রকে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেবেন। তাদের বক্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় আচার পালন করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের নামাজ পড়ার ঘটনাটি সোমবার সকালের। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক লকুলিশ ত্রিবেদী বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে একটি ভিজিল্যান্স দল ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কারণ ওই ভবনে পরীক্ষা চলছিল। জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্র বি.কমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে নামাজ পড়েছিল। যেহেতু এখন তাঁদের পরীক্ষা চলছে, তাই তাঁদের পরে এর জন্য ডাকা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে যাতে তাঁরা এই ধরনের কাজ না করেন তা তাঁদের বোঝানো হবে বলে জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন।

এদিকে, শনিবার কলেজ চত্বরে যে দম্পতিকে নামাজ পড়তে দেখা গিয়েছে সেই ঘটনায় তদন্ত করা হয়। তাতে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে সেখানে এসেছিলেন কোনও একটি পরীক্ষার জন্য। যদিও তাঁরা এর জন্য পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামাজ পড়ার তীব্র বিরোধীতা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের ভাদোদরা ইউনিটের সেক্রেটারি বিষ্ণু প্রজাপতি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইচ্ছাকৃত এবং এটি ষড়যন্ত্র। মুসলিমরা এই ধরনের কার্যকলাপ করে হিন্দুদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেও প্রস্তুত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে একটি বিস্তারিত স্মারকলিপি জমা দেব। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কড়া করতে হবে।’