Jadavpur University: বছরে ১০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল!‌ অর্থসংকটেও কেন এমন হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে?

সম্প্রতি তীব্র অর্থ সংকটের মুখে পড়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে টাকা আসছে না। অন্যদিকে সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় দেশ–বিদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনীদের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। না হলে এই বিশ্ববিদ্যলয়ের ব্যয়ভার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সে কথা শনিবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্য–রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। এবার তার উপর আরও বড় আর্থিক চাপ তৈরি হয়েছে।

কেমন আর্থিক চাপ দেখা যাচ্ছে?‌ এমন আর্থিক সংকট যখন চলছে তখন দেখা গেল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুতের বিল আকাশছোঁয়া হয়েছে। বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যলয়কে। এটাই গোদের উপর বিষফোঁড়া বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার এমন আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিলের যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজতে শুরু করল বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত একটি কমিটি। কেমন করে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় সেটাই দেখা হচ্ছে।

কেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। তাই ইতিমধ্যেই খরচ কমানো এবং আয়ের উৎস সন্ধানে উপাচার্যের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিষদ একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ভার কোথায় কাটছাঁট করা হবে সে নিয়ে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। সেখানেই উল্লেখ করা থাকবে বাড়তি খরচ কোন খাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিল কেন লাগামছাড়া সেটাও এই কমিটি তুলে ধরবে।

কেন এমন অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসছে?‌ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে গবেষণা বিঘ্নিত হচ্ছে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়কে বছরে ১০ কোটি টাকা মেটাতে হচ্ছে বিদ্যুতের বিল। ছয় কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। তাহলে বাড়তি চার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে কেন?‌ এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এখানে বিভিন্ন বিভাগে ঘন্টার পর ঘন্টা এসি চলে। কিছু বিভাগে আলো পাখা বন্ধই হয় না। তাই প্রত্যেক বিভাগের জন্য পৃথক মিটার বসানোর প্রস্তাব দিযেছে কমিটি। যাতে বিদ্যুৎ বিলের অডিট করা সহজ হয় এবং অস্বাভাবিক মনে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সতর্ক করা যায়।