Pragya’s controversial knife comment: ‘আত্মরক্ষায় কমপক্ষে বাড়িতে ধারালো ছুরি রাখুন’, হিন্দুদের বার্তা BJP-র প্রজ্ঞার

কেউ আক্রমণ করলে হিন্দুদেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। সেজন্য বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখারও ‘পরামর্শ’ দিলেন বিজেপির সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তাঁর বক্তব্য, ‘বাড়িতে অস্ত্র রাখুন। যদি কিছু না থাকে, তাহলে নিদেনপক্ষে সবজি কাটার ছুরিই ধার দিয়ে রাখুন।’

রবিবার কর্ণাটকের শিবমোগায় হিন্দু জাগরণ বেদিকের দাক্ষিণাত্যের বার্ষিক সম্মেলনে আসেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ। সেখানে শিবমোগার হর্ষ-সহ হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে অস্ত্র রাখুন। যদি কিছু না থাকে, তাহলে নিদেনপক্ষে সবজি কাটার ছুরিতে শান দিয়ে রাখুন। কখন, কী পরিস্থিতি তৈরি হবে, তা (আমরা) জানি না। প্রত্যেকেরই আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কেউ যদি আমাদের বাড়িতে অবৈধভাবে ঢুকে আসে এবং আমাদের উপর হামলা চালায়, তাহলে যোগ্য জবাব দেওয়ার অধিকার আছে আমাদের।’

আরও পড়ুন: BJP MP Pragya Thakur on Love Jihad: হিন্দুরা এমন কাজ করেন না, সব লাভ জিহাদ শ্রদ্ধা খুনে দাবি সাধ্বী প্রজ্ঞার

‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে প্রজ্ঞা

ওই সম্মেলন থেকে ‘লাভ জিহাদ’ নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘লাভ জিহাদ – ওদের জিহাদের একটা প্রথা আছে। যদি অন্য কিছু করতে না পারে, তাহলে লাভ জিহাদ করে। ওরা যদি প্রেমও করে, তাতেও জিহাদ করে। আমরাও (হিন্দু) ভালোবাসি, ঈশ্বরকে ভালোবাসি। সন্ন্যাসীরা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন। সন্ন্যাসীরা বলেন যে পৃথিবী তৈরি করেছেন ঈশ্বর। যদি না সত্যিকারের ভালোবাসার সংজ্ঞা না থাকে, তাহলে সব অত্যাচারী এবং পাপীদের শেষ করে দিন। নিজের মেয়েদের রক্ষা করুন এবং তাদের সঠিক মূল্যবোধে শিক্ষিত করে তুলুন।’

‘সন্তানদের মিশনারি প্রতিষ্ঠানে ভরতি নয়’, বললেন বিজেপি সাংসদ

মিশনারি প্রতিষ্ঠানে যাতে সন্তানদের ভরতি না করেন, সেজন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন প্রজ্ঞা। তিনি বলেন, ‘সেটা করলে নিজেদের জন্য বৃদ্ধাশ্রমের দরজা খুলে দিচ্ছেন। ছেলেমেয়ে আপনাদের এবং আপনাদের সংস্কৃতির থাকবে না। ওরা (যে পড়ুয়ারা মিশনারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন) বৃদ্ধাশ্রমের সংস্কৃতিতে বড় হয়ে ওঠে এবং স্বার্থপর হয়ে ওঠে।’

আরও পড়ুন: Hijab Controversy: ‘হিজাব পরতে হলে বাড়ির ভিতরে পরা উচিত’, বিতর্কে ঘি ঢেলে মন্তব্য প্রজ্ঞা ঠাকুরের

সেইসঙ্গে ভোপালের বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘নিজের বাড়িতে পুজো করুন। নিজের ধর্ম এবং শাস্ত্রের বিষয়ে পড়াশোনা করুন। নিজের সন্তানকে সেই বিষয়ে শিখিয়ে নিন। যাতে আপনার সন্তানও আমাদের সংস্কৃতি এবং মূৃল্যবোধের বিষয়ে জানতে পারে।’