Rahul Gandhi compared to Ram: ‘যোগীর মতো তপস্যা… রাহুল গান্ধী হলেন রাম’, মন্তব্য ‘শীতে কাঁপতে থাকা’ খুরশিদের

কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা বর্তমানে দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করেছে। এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঠান্ডায় কাঁপছে রাজধানী সহ গোটা উত্তর ভারত। তবে এরই মধ্যে শুধু এটকি সাদা রঙের টিশার্ট পরেই নিজের যাত্রা জারি রেখেছেন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি, সেই টিশার্ট পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সমাধি স্থলে গিয়েছিলেন রাহুল। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। কংগ্রেস তা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। এই আবেহ এবার রাহুল গান্ধীকে ‘তপস্যী যোগী’ এবং রামের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। রামায়ণের সঙ্গে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র যোগ সূত্র টেনে তিনি রাহুল গান্ধীকে ‘সুপারহিউম্যান’ তকমাও দিয়েছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে রামায়ণের ‘ভরত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন খুরশিদ।

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘রাহুল গান্ধী সুপারহিউম্যান। আমরা যেখানে শীতে কাবু হয়ে জ্যাকেট পরতে বাধ্য হয়েছি। সেখানে রাহুল গান্ধী শুধুমাত্র একটি টিশার্ট পরে ভারত জোড়া যাত্রায় হাঁটছেন। তিনি এক যোগী। তিনি নিজের তপস্যায় মনোনিবেশ করেছেন।’ খুরশিদ আরও বলেন, ‘শ্রীরামের খড়ম জোড়া অনেক দূর দূরান্তে পৌঁছে যায়। যদি কোথাও শ্রীরাম নিজে না যেতে পারেন, সেখানে ভরত তাঁর খড়ম নিয়ে পৌঁছে যান। সেরকম ভাবেই আমরা (কংগ্রেস) উত্তরপ্রদেশে রামজির খড়ম বহন করেছি। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গিয়েছে খড়ম। রামজিও (রাহুল গান্ধী) আসবেন উত্তরপ্রদেশে।’ এদিক উত্তরপ্রদেশে ভারত জোড়া যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিএসপি প্রধান মায়াবতীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সম্প্রতি ‘বীরভূমি’ (রাজীব গান্ধীর সমাধিস্থল), ‘শক্তিস্থল’ (ইন্দিরা গান্ধীর সমাধিস্থল), ‘শান্তিবনে’ (জওহরলাল নেহরুর সমাধিস্থল) গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর গায়ে ছিল শুধুমাত্র একটি টিশার্ট। এদিকে তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী এবং কংগ্রেস নেতারা মাফলার, জ্যাকেট পরেছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজস্থান, হরিয়ানা পেরিয়ে রবিবার দিল্লিতে প্রবেশ করেছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। ডিসেম্বরেও কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও শুধুমাত্র একটি কার্গো প্যান্ট এবং হাফ হাতা সাদা টিশার্ট পরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীকে। যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। ‘ঠান্ডা না লাগা’ নিয়ে বিজেপির কটাক্ষের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন যে আমার ঠান্ডা লাগছে কিনা। কিন্তু কখনও জিজ্ঞেস করেছেন যে একজন কৃষক, শ্রমিক, দরিদ্র শিশুদের ঠান্ডা লাগে কিনা?’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা দরিদ্র মানুষদের গরম পোশাক দেওয়ার মতো সামর্থ্য রাখে না তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।’