Assam: ‘মা সরি, ক্ষমা করে দিও, ওকে খুব ভালোবাসি,’ ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা যুবকের

বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ

ফেসবুক লাইভে এসেছিলেন অসমের এক যুবক। আর লাইভ চলাকালীনই আত্মহত্যা করলেন ২৭ বছর বয়সী ওই যুবক। মর্মান্তিক। অসমের কাছার জেলার ঘটনা। আর এই চরম পরিণতির জন্য তিনি তার প্রেমিকা ও তার পরিবারের লোকজনকে দোষারোপ করেছেন বলে খবর।

কাছার এলাকায় তিনি থাকতেন। তিনি একটি মেডিক্য়াল কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাঁর পরিবারের দাবি, সোমবার মাঝরাতে এই ঘটনা।তার বড় ভাইয়ের দাবি লাইভ শুরু করার আগে তিনি পরিবারের সব সদস্য়দের ব্লক করে দিয়েছিলেন।

তার ভাই জানিয়েছেন, রাত ১১টা ৫৭ মিনিট নাগাদ আমায় হোয়াটস অ্যাপে ভাই বলেছিল বাড়ি আসছি। পাঁচ মিনিট বাদেই একজন ফোন করে জানায় জয়দীপ লাইভে রয়েছে। সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে।

এদিকে ফেসবুক লাইভে তিনি জানিয়েছেন, তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে তাকে বিয়ে করতে চাইছে না। লাইভ ভিডিয়োতে ওই যুবক জানিয়েছিলেন, সবার সামনে আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরপর তার কাকা এসে আমায় জানায় আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে মেয়েটিকে তারা খুন করে ফেলবে। আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। ওকে আমার জন্য আর কষ্ট পেতে হবে না। এই বলে আত্মহত্যা করেন তিনি।

আর আত্মহত্যা করার আগে তিনি পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি ফেসবুক লাইভে বলেন, মা, কাকা, কাকিমা, বোন, দাদা, ভাইঝি, জামাইবাবু সবাইকে বলছি সরি। আমি সবাইকে ভালোবাসি। কিন্তু আমার প্রেমিকাকে আমি খুব ভালোবাসি। ফেসবুক লাইভে তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায়। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তার দাদা জানিয়েছেন, শিলচরে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকত ভাই।আত্মহত্যার বিষয়টি জেনেই আমরা বাড়িওলাকে খবর দিই। দ্রুত তারা ঘরে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তারা দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে দেহটা ঝুলছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

দাদা জানিয়েছে, আমরা খুব গরীব। ভাই আয় করার পরে কিছুটা অবস্থা ফিরছিল। কিন্তু সেটাও শেষ হয়ে গেল। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না তদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে একটি স্বতঃ প্রণোদিত মামলা করা হবে।

এদিকে প্রেমের এই ভয়াবহ পরিণতিকে ঘিরে নানা চর্চা শুরু হয়েছে এলাকায়। ভেঙে পড়েছে ওই যুবকের পরিবার। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।