‘Corrected History’ according to NEP: ‘সরস্বতী পুজোর দিন থেকে সঠিক ইতিহাস শিখবে পড়ুয়ারা’, বললেন শিক্ষামন্ত্রী

‘২০২৩ সালের সরস্বতী পুজোর দিন থেকে ভারতীর ইতিহাসের সঠিক সংস্করণ পড়তে পারবেন পড়ুয়ারা।’ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ (আইসিএইচএআর) এবং আরএসএস অনুমোদিত ‘সর্বভারতীয় ইতিহাস সংকল্প যোজনা’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রসঙ্গত, নতুন করে ভারতের ইতিহাস লেখার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ’। সংস্কৃত বা ভারতীয় ভাষার ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলির তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নতুন করে দেশের ইতিহাস লিখছে তারা। ভারতীয় ইতিহাস থেকে ‘ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ মুছতেই এই পদক্ষেপ। ইসিএইচআর-এর কথায়, ‘ভুল’ শুধরে ‘বাদ পড়া’ অংশগুলি জুড়ে দেওয়া হবে ভারতের ইতিহাসে। এই আবহে স্কুলের পাঠ্য বইও নতুন করে ছাপানো হচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন সেই নতুন বই পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে এই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি থেকে জাতীয় শিক্ষা নীতির অধীনে সারাদেশে ছাত্রদের হাতে ভারতীয় ইতিহাসের সংশোধিত সংস্করণ তুলে দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি আমাদের অনেক সুযোগ প্রদান করবে। নয়া শিক্ষা নীতিতে মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মাতৃভাষাকে প্রাধান্য না দিয়ে শিক্ষা প্রদান অর্থহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে আমাদের একটি নতুন বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে হবে। তাই নতুন বিষবস্তু সমেত বই পুনঃপ্রকাশিত হচ্ছে। এই বইগুলি ভারত সম্পর্কে বিশ্বকে স্পষ্ট ধারণা দেবে। এই বইগুলো ডিজিটাল মোডেও পাওয়া যাবে।’

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে স্বাধীন একটি সংস্থা হল ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ’। এই সংস্থাই ‘কম্প্রিহেন্সিভ হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া’ নামক এক প্রোজেক্টের মাধ্যমে নতুন করে ভারতের ইতিহাস জনসমক্ষে আনতে চলেছে। মোট ১২ থেকে ১৩টি খণ্ডে প্রকাশিত হবে এই প্রোজেক্টের কাজ। প্রথম ভলিউমটি আগামী বছর প্রকাশিত হতে চলেছে। দেশজুড়ে ১০০ জন ইতিহাসবিদ এই প্রোজেক্টে কাজ করছেন। কাউন্সিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই শিক্ষার গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে কাউন্সিলের বক্তব্য, এই প্রোজেক্ট ভূরাজনৈতিক আঙ্গিক থেকে নয়, বরং ভূসাংস্কৃতিক আঙ্গিকে লেখা হবে। কাউন্সিলের দাবি, প্রাচীন গ্রন্থ ঘেঁটে প্রমাণ সংগ্রহ করে ভারতকে বিজ্ঞানের ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের ইতিহাস খুঁজে বের করার জন্য একসাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিএইচআর এবং ইসরো। বিজ্ঞানে ভারতের অবদানকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে ছয়টি খণ্ডে প্রকাশিত করা হবে বই।