Darjeeling Municipality: জিটিএ’‌র পর এবার বিনয় তামাংদের দখলে দার্জিলিং পুরসভাও, আদালতের পথে হামরো পার্টি

হামরো পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হয়নি। আর আজ, বুধবার জিটিএ’‌র পরে এবার কার্যত বিনয় তামাংদের দখলে চলে গেল দার্জিলিং পুরসভাও। কারণ এদিনের আস্থাভোটে যোগ দিল না হামরো পার্টি। উলটে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অজয় এডওয়ার্ডরা। সে মামলার শুনানি হয়ে রায় দিতে যে সময় লাগবে তাতে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দখলে আপাতত দার্জিলিং পুরসভা।

ঠিক কী ঘটেছে দার্জিলিংয়ে?‌ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আজ, বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার কথা ছিল দার্জিলিং পুরসভায়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও উপস্থিত হননি হামরো পার্টির ১৪ জন কাউন্সিলর। আর সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ১৪ জন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দু’‌জন কাউন্সিলর। আর এখানেই আস্থাভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ হয়ে যায় বিনয় তামাংদের। এই বিষয়ে বিদায়ী চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমে জানান, এই আস্থাভোটে তাঁরা অংশ নেবেন না। অনীত থাপারা কাউন্সিলর কেনাবেচা করেছে।

এখন ঠিক কী পরিস্থিতি?‌ আজকের আস্থাভোটের পর অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে দার্জিলিংয়ে। থমথমে পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং জুড়ে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। গত ২৪ নভেম্বর দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার ৬ জন কাউন্সিলর নোটিশ দেন। তারপর গত ১৩ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানানো হয়। তাতে বিশেষ লাভ না হওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করতে চেয়ে বৈঠকে বসেন কয়েকজন কাউন্সিলর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন হামরো পার্টির রীতেশ পোর্টেল–সহ কয়েকজন। তারপর কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অনাস্থা প্রস্তাব আনতে কোনও বাধা নেই। মোট ৩২ আসনের দার্জিলিং পুরসভায় ১৮টি আসনে জিতে বোর্ড গঠন করে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পায় ৯টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস পায় দুটি আসন। তবে বিমল গুরুংয়ের জনমুক্তি মোর্চা তিনটি আসনে জয়লাভ করে। যদিও পরে জিটিএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার একজন কাউন্সিলর ইস্তফা দেন। সুতরাং কাউন্সিলর সংখ্যা ৩১ হয়। সম্প্রতি হামরো পার্টির ছ’জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেন। এই ঘটনার পর কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। তারপর তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং এবং অজয় এডওয়ার্ডকে।