Terrorists Killed in Jammu: বছর শেষেও উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর, নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে মৃত ৪ জঙ্গি

বছরের শেষ লগ্নেও জম্মু ও কাশ্মীরে জারি থাকল সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। জম্মুর পাঞ্জতীর্থী-সিধরা সড়কে আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলির লড়াইতে চার সন্ত্রাসী নিহত হয়। এক গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর গুলি বিনিময় শুরু হয় সেখানে। জানা গিয়েছে, এক সন্দেহজনক ট্রাককে অনুসরণ করার পরই সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সেই ট্রাক চালক পালিয়ে গিয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্তা মুকেশ সিং। পুলিশ জানিয়েছে, আজ জম্মু শহরের কিছুটা দূরেই নিরাপত্তাবাহিনী একটি ট্রাককে আটকায়। সেই ট্রাকেই যাচ্ছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় সন্ত্রাসবাদীরা।

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেন, ‘আমরা একটি ট্রাকের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করি। এই আবহে সেই ট্রাকটিকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। ট্রাকটি জম্মুর সিধরায় থামানো হয়েছিল। সেখানে ট্রাক থেকে নেমে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ট্রাক তল্লাশি করলে ভেতরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। জবাবে পাল্টা গুলি চালানো হয় সেনার তরফেও।’ এদিকে মুকেশ সিংয়ের তরফে আরও জানানো হয়, সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ট্রাকে আগুন লেগে যায়। আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনী এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

গুলির লড়াইয়ের পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ট্রাক চালকের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে এলাকায়। এর আগে সোমবারই জম্মুর উধমপুরে সন্ত্রাসবাদী নাশকতার ছক বানচাল করতে সক্ষম হয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে সিলিন্ডারের আকারে আইডি, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম আরডিএক্স, সাতটি ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ ও পাঁচটি ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। লস্কর জঙ্গির লেখা একটি পাতাও মেলে। কর্মকর্তারা জানিয়ছেন, বসন্তগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে।

এর আগে গত সপ্তাহেই উত্তরকাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় হাথলাঙা সেক্টরের উরি এলাকা থেকে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পেয়েছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। আটটি একে ৭৪ রাইফেল, ২৪টি ম্যাগজিন, ৫৬০টি তাজা রাইফেলের গুলি, ১২টি চিনা পিস্তল ও ২৪টি ম্য়াগজিন, ২২৪টি পিস্তলে তাজা কার্তুজ, ১৪টি পাকিস্তানি আর চিনের গ্রেনেড, বেলুন সহ ৮১টি পাকিস্তানি পতাকা বাজেয়াপ্ত করা হয় সেখান থেকে। কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্প্রতি অন্তত ১৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাঁচজন পুলিশ কর্মী, একজন রাজনৈতিক কর্মী, একজন ঠিকাদার, একজন দোকানদার ছিলেন ধৃতদের মধ্যে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজ পান পুলিশ।