Tripura: দোরগোড়ায় ভোট, দল ছাড়লেন BJP বিধায়ক, ত্রিপুরায় মহা-চাপে গেরুয়া শিবির

ভোটের মুখে ত্রিপুরায় ফের বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির এক বিধায়ক দিবা চন্দ্র রনখৌল এবার ইস্তফা দিলেন। ভোটের আর মাত্র মাস দুয়েক বাকি। তার আগেই পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরার বিজেপি এমএলএ। ধলাই জেলার করমছেড়া বিধানসভা আসন থেকে তিনি ভোটে জিতেছিলেন। এবার ভোটের মুখেই তিনি ইস্তফা দিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , ব্যক্তিগত কারণে আমি ইস্তফা দিচ্ছি। এনিয়ে দলের পঞ্চম বিধায়ক দলত্যাগ করলেন।

এদিকে তাঁকে কংগ্রেস নেতা আশিস কুমার সাহা, যুব নেতা বাপতু চক্রবর্তী, ও দলের মুখপাত্র প্রশান্ত ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা যায়। ইস্তফাপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ওই নেতৃত্ব ছিলেন। আর সেই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ওরা আমার খুব ভালো বন্ধু। সেকারণেই ছিলেন আমার সঙ্গে। সিপিএম, কংগ্রেস এমনকী বিজেপিতেও আমার ভালো বন্ধু রয়েছে।

কিন্তু কোনদিকে যাবেন তিনি? এনিয়ে তাঁর দাবি,এখনও তিনি এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি বলেন, আমি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি তবে আপনাদের জানিয়ে দেব।

এদিকে তিনি বিগতদিনে কংগ্রেসেই ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়়ে গিয়েছিলেন। আর তার এক বছরের মধ্যেই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন।

তিনি চারবারের বিধায়ক। জীবনের প্রথম তিনটি ভোট তিনি কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন। এবার সেই বিজেপিও ছাড়লেন তিনি।

এদিকে বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস গত বছর বিজেপি ছেড়়েছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সুদীপ রায় বর্মন ও আশিস সাহা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য় দল ছেড়েছিলেন।

এরপর তাঁরা ফের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন সুদীপ রায় বর্মন জিতে যান আগরতলা আসন থেকে। কিন্তু বরদোয়ালি আসন থেকে ডঃ মানিক সাহার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন আশিস সাহা। বাকি তিনটি আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে বুরবু মোহন ত্রিপুরা গেরুয়া শিবির ছেড়ে দেন। এরপর তিনি TIPRA Motha Partyতে যোগ দেন। এদিকে বিজেপির সহযোগী দল IPFT’র বৃষকেতু দেববর্মা, ধনঞ্জয় ত্রিপুরা ও মেওয়ার কুমার জামাতিয়া গত বছর থেকে TIPRA Motha Partyতে যোগ দেন।

সিপিএমের প্রবীন নেতা পবিত্র কর জানিয়েছেন, গত বছর থেকেই বিজেপি তার জমি হারাতে শুরু করেছে। আগামী দিনে তারা আরও হারাবে। ২০২৩ সালের ভোটে তাদের আর কোনও আশা নেই।

বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমি শুনেছি তিনি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। ঠিকঠাক কাজ করতে পারছিলেন না। সম্ভবত সেকারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।