লম্বায় একটি ট্রাকের সমান! জীবাশ্ম থেকে মিলল ডাইনোসরের বিশাল পূর্বপুরুষের হদিশ

আজ থেকে প্রায় ৬.৬-৭.২ কোটি বছর আগেকার কথা। ব্রাজিলের জলে ঘুরে বেড়াত দৈত্যাকার এক প্রজাতির কুমির। তাকে বর্তমান কুমিরদের পূর্বপুরুষ বলা যেতে পারে। কোটি কোটি বছর আগের, পৃথিবীর সেই বাসিন্দারই হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা।

Titanochampsa iorii নামের এই কুমিরের প্রজাতিটি লম্বায় প্রায় ১০-২০ ফুট হত। ‘হিস্টোরিক্যাল বায়োলজি’ জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর কামড় অসম্ভব শক্তিশালী ছিল। আরও পড়ুন: Mars Dust Devil: মঙ্গলগ্রহের ধুলিঝড়ের শব্দ প্রকাশ করল NASA!

এর জীবাশ্ম কিন্তু বহু আগেই পেয়েছিলেন গবেষকরা। ১৯৮৭ সালে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের মন্টে অল্টো অঞ্চল থেকে সেই জীবাশ্ম মেলে। তাতে এই সরীসৃপের দেহের ডান দিকের বেশিরভাগ অংশ আংশিকভাবে সংরক্ষিত অবস্থায় মেলে। জীবাশ্মতে মাথার খুলির উপরের অংশটারও হদিশ মেলে।

বিশালাকার এই জীবাশ্ম দেখে প্রাথমিকভাবে সেটি টাইটানোসর নামক এক ডাইনোসরের খুলি ভেবে ধারণা করেছিলেন গবেষকরা। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেটি একটি বিশালাকার কুমিরের মাথার খুলির অংশ। টাইটানোসরের থেকে একেবারে আলাদা।

দৈত্যাকার এই প্রাণী সম্ভবত নিওসুচিয়া গোষ্ঠীর অন্তর্গত। বর্তমানে আমরা যে কুমির দেখি, এই নিওসুচিয়ারা হল তাঁদেরই নিকটতম পূর্বপুরুষ।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই প্রাণীটিও সম্ভবত উভচর ছিল। বর্তমান কুমিরের মতোই জলে-ডাঙায় দুই স্থানেই তার বিচরণ থাকতে পারে।

গবেষণা পত্রে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘টাইটানোচ্যাম্পসা ইওরি আকারে সুবিশাল। আর এর কামড়ও বেশ শক্তিশালী ছিল বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, এটি উভচর ছিল। অ্যাম্বুশিং আচরণও থাকতে পারে। ঠিক যেমনটা এখনকার বেশিরভাগ কুমিরের থাকে।’ আরও পড়ুন: দ্রুত হারে মৃত্যু হচ্ছে শ্বেত ভালুকের! শেষের সে দিনের আভাস দেখতে পাচ্ছে বিজ্ঞান

জীবাশ্মের মাধ্যমে প্রাণীটির খণ্ডমাত্রই মিলেছে বটে। কিন্তু তার থেকেই বেশ কিছু অদেখা বিষয় নজরে পড়ে গবেষকদের। আর সেই কারণেই গবেষকরা বুঝতে পারেন যে, এটি সম্পূর্ণ নতুন কোনও প্রাণী।