২ বা ৩ বছরের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা: ইসরায়েলি মন্ত্রী

আগামী দুই বা তিন বছরের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। বুধবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই টাইমলাইনের কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের পরাশক্তিদের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে। এরপর ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে। বেসামরিক কাজের জন্য এই সমৃদ্ধকরণ হলেও তা পারমাণবিক বোমার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ইরান দাবি করে আসছে, তাদেরএমন কোনও পরিকল্পনা নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প সময়ে অস্ত্র নির্মাণে উপযুক্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম পেয়ে যেতে পারে ইরান। কিন্তু তা নিক্ষেপ করার মতো ওয়ারহেড তৈরিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। চলতি ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার পূর্বাভাসেও এমনটি বলা হয়েছে।

বুধবার ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ক্যাডেটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেছেন, দুই বা তিন বছরের মধ্যে আপনারা হয়ত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলায় নেবেন।

এর আগে মঙ্গলবার ইরানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আভিভ কোচাভি। ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত রয়েছে।

আভিভ কোচাভি বলেন, ‘ইরানে অভিযানের প্রস্তুতির মাত্রা নাটকীয়ভাবে উন্নত হয়েছে।’

সেনাবাহিনীকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে মিশন দেওয়া হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

আভিভ কোচাভি বলেন, সিরিয়ায় ‘হাজার হাজার শিয়া মিলিশিয়া’ মোতায়েনের পাশাপাশি দেশটিতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চায় ইরান।

তিনি বলেন, ইরান সিরিয়ায় আরেকটি হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিল। তবে তাদের এমন পরিকল্পনায় বাগড়া দিতে সমর্থ হয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যকার সীমান্তের কাছাকাছি সিরীয় এলাকায় স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইরান।