Kalna Municipality: কালনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে সরব কাউন্সিলররা

পঞ্চায়েত ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে খড়গপুর এবং মেদিনীপুরে। আর এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় শুরু হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল পরিচালিত কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানালেন দলেরই কাউন্সিলাররা। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব দেখাচ্ছেন, তিনি কাজে সহযোগিতা করছেন না। তাই অবিলম্বে চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাউন্সিলররা।

কাউন্সিলরদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে এর আগে বহুবার জানানো হয়েছে তারপরেও দলের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাদের আরও অভিযোগ, গত ৯ মাস ধরে পুরসভায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়নি। ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দলের বিরুদ্ধে নই, আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কারণ উনি ঠিকমতো কাজ করছেন না। আমাদেরকেউ কাজে সহযোগিতা করছেন না। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব দেখাচ্ছেন। উনাকে চেয়ারম্যান থেকে না সরালে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত।

চেয়ারম্যানের দাবি, ভালো কাজে সব সময় বাধা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ করতে গেলে অনেকের অসুবিধা হয়। তাতে কারও কিছু অসুবিধা হলে আমার কিছু করার নেই।’ পাল্টা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। চেয়ারম্যানের দাবি, এর আগের দিনই পুরসভায় বৈঠক ছিল। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। প্রসঙ্গত এরই মধ্যে কালনা পুরসভার কর্মীরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে তাঁরা কর্মবিরতি করবেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।