Myanmar: মায়ানমারের নেত্রী সু চির ৭ বছরের জেল, ঠিক কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে?

সেনা পরিচালিত মায়ানমারের কোর্ট শুক্রবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী আয়ুং সান সু চিকে সাত বছরের বেশি সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

এদিকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুচিকে। এরপর আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানি চলে তার বিরুদ্ধে। এদিকে মায়ানমারের নেত্রী থাকাকালীন একটি হেলিকপ্টারকে ইজারা নেওয়া ও ব্যবহার করা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।এরপরই এনিয়ে দফায় দফায় শুনানি হয় আদালতে।

এদিকে মায়ানমারে গণতন্ত্রের দাবিতে তিনি দীর্ঘ আন্দোলনে নেমেছিলেন। তিনি নোবেল প্রাইজও পেয়েছিলেন। অক্সফোর্ডে শিক্ষিত সু চি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ অংশই সামরিক সরকারের হাতে অন্তরীন অবস্থায় কাটিয়েছেন।

এদিকে সূত্রের খবর সু চির শারীরিক অবস্থা ঠিকই আছে।

এদিকে ২০১৫ সাল থেকে ৫ বছরের জন্য মায়ানমারকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সু চি। মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে তাঁর দীর্ঘ প্রচেষ্টা। তবে বর্তমানে জুনতা সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলেও নানা কথা উঠেছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে বলা হয়েছে, জুনতা সরকারকে অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সু চি সহ সমস্ত বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদ।

এদিকে সু চিকে বন্দি করে রাখার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলেও সরব হয়েছেন অনেকেই। বলা হচ্ছে, জীবনের বাকি দিনগুলোকে গরাদের পেছনে আটকে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সেখানকার সরকার। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত শাস্তি।

এমনকী এটাও বলা হচ্ছে যে জুনতা নির্ঘাত ভাবছে যে আন্তর্জাতিক কমিউনিটি এই খবরটা মিস করে যাবে আর এনিয়ে বিশ্বে কোনও নাড়াচাড়া হবে না। সু চির বিরুদ্ধে অযৌক্তিক প্রচার করছে মিলিটারি।

তবে গোটা ঘটনা নিয়ে জুনতার তরফে কাউকে মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে জুনতার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে এই যে ট্রায়াল হয়েছে তা একেবারে যুক্তিযুক্ত।

এদিকে গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে সু চি প্রচারের নাম করে কোভিড বিধি ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি রেডিও সংক্রান্ত সরঞ্জাম বেআইনীভাবে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ, রাজ্য়ের সিক্রেট আইন তিনি ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ। পাশাপাশি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। তবে সু চি এই সব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছিলেন।

এদিকে সু চি মুক্তির দাবিও অবশ্য় উঠতে শুরু করেছে । ক্যাঙারু কোর্টের মাধ্যমে কোনও প্রমাণ ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।