অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়ির মধ্যে আস্ত একটা সাপ, শোরগোল মেদিনীপুরে

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না যাতে স্বাস্থ্যসম্মত হয় সেজন্য় বার বার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এনিয়ে আচমকা পরিদর্শনও করা হয় প্রশাসনের তরফ। কিন্তু তারপরেও বিপদ পুরোপুরি এড়ানো গেল না। মেদিনীপুরের দাসপুরের ভুইয়ারায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সাপ পড়েছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। গরম খিচুড়ির মধ্য়ে কীভাবে আস্ত সাপ চলে এল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্য়েও তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

এদিকে দুজন পড়ুয়া সেই খিচুড়ি গরম গরম খেয়েও ফেলেছিল। তাদের আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরের কোনও রকম সমস্যা হচ্ছে কি না তা দেখা হচ্ছে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্র থেকে টিফিন কৌটোতে করে দুজন ছাত্র খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিল। কোনওভাবে হাত থেকে টিফিন কৌটোটি পড়ে যায়। এরপরই দেখা যায় খিচুড়ির মধ্য়ে আস্ত একটি সাপ। তবে কি সাপ সমেত খিচুড়ি রান্না হয়ে গিয়েছে? নাকি খিচুড়িটি ঢাকা দেওয়া ছিল না।যার জেরে গরম খিচুড়ির মধ্যে সাপটি পড়ে গিয়েছিল? সেই প্রশ্নটা এবার উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই কেন্দ্রে সাধারণত ৪৫জনের রান্না করা হয়। প্রসূতি মা ও বাচ্চারাও এখানকার খিচুড়ি খায়। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কভাবে এখানে রান্না করা দরকার। কিন্তু সেই খিচুড়িতেই এবার সাপ থাকার অভিযোগ। ভয়াবহ ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য়েও এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের ধারনা, কোনওভাবে হয়তো রান্না করার সময় সাপটি ওপর থেকে রান্নার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। গরম খিচুড়়ির মধ্যে পড়ে সেটি মারা যায়। আর উঠতে পারেনি। এদিকে সেই সাপ সমেতই খিচুড়ি পড়ুয়াকে দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল।

গোটা ঘটনায় ব্লক প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। এব্যাপারে ব্লক প্রশাসন খোঁজখবর নিচ্ছে। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়়ি কেন্দ্রের কর্মীদের দাবি, স্বাস্থ্যসম্মতভাবেই রান্না করা হয়। পরিষ্কার বাসনে, কড়াতে রান্না করা হয়। রান্নার সময়তেও বসে ছিলেন কর্মী। কিন্তু তারপরেও কীভাবে খিচুড়ির মধ্যে সাপ পড়ে গেল!

এদিকে অনেকের মতে, এর জেরে বড় ঘটনা হয়ে যেতে পারত। বিষক্রিয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। রান্নার ক্ষেত্রে যাতে সমস্ত রকম সতর্কতা অবলম্বন করা হয় সেব্যাপারে দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।