মডেলদের মতো ফিগার না হলে চলবে না, এই মিথকে গুঁড়িয়ে দিল এই ‘বেশরম রঙ’ ভিডিয়ো

গত কয়েক দিন ধরেই ‘বেশরম রঙ’ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। কেউ বলছেন, গেরুয়া স্নান পোশাকে ‘নির্লজ্জ’ গান একটি সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত। আবার কেউ নারী শরীরকে যৌন পণ্য হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। একইসঙ্গে অনেকে দীপিকা পাদুকোনের শারীরিক গঠন নিয়েও মন্তব্য করছেন। কারও মতে, সিনেমায় দীপিকা পাদুকোনের মতো এতটা স্লিম শরীর বজায় রাখা বেশিরভাগ মেয়েদের পক্ষেই অসম্ভব। কিন্তু প্রভাবিত হয়ে অনেক অল্পবয়সী মেয়েই এমন ফিটনেস গোল বেছে নেবেন। বাস্তবে যা অর্জন করা সম্ভবই নয়। অনেকে আবার এই স্লিম ফিগার নিয়েও উল্টো মন্তব্য করছেন। বলছেন, দীপিকাকে গানের দৃশ্যায়নে বড্ড বেশিই তন্বী লাগছে। তাঁর শারীরিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন করছেন অনেকে।

এমন সময়েই প্রচারের আলোয় আসার সুযোগ ছাড়লেন না এক ইনস্টাগ্রামার। তন্বী গীতা রবিশঙ্কর নামের এক তরুণী বেশরম রঙ গানটি রিক্রিয়েট করলেন। ভিডিয়োয় তাঁকে দীপিকার মতোই আউটফিটে সমুদ্র সৈকতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর বার্তা, ‘বেশরম হন। আপনি যা ভালবাসেন, তাই করুন, যা খুশি পরুন, জীবন আপনার মতো করে বাঁচুন। এতে যদি আপনি কারও চোখে বেশরম হয়ে যান, তাতেও সমস্যা নেই। ২০২৩ সাল আসছে।’ আরও পড়ুন:

শুক্রবার ভিডিয়োটি পোস্টের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারের বার্তার প্রশংসা করেছেন। আরও পড়ুন: ফরাসি গান থেকে টুকে দিল বিশাল-শেখর! বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না শাহরুখের ‘বেশরম রং’-এর

তন্বী বডি পজিটিভিটির প্রচার করেন। তিনি নিজে জানিয়েছেন, ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন। অর্থাত্ আবেগের বশে, হঠাত্ করে তিনি খেয়ে ফেলেন। খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সেই কারণে তাঁর পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।

আমাদের আশেপাশের বহু মানুষই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভোগেন। অনেকে দুঃখ, ডিপ্রেশন থেকে বের হতে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেন। রোগা হয়ে যান। আবার অনেকে সেই জাতীয় আবেগেই প্রচুর খাবার খেয়ে ফেলেন। এর ফলে ওজন বাড়তে থাকে। এটিই ইটিং ডিসঅর্ডার নামে পরিচিত। এর নিয়ন্ত্রণে পুষ্টিবিদের পাশাপাশি মনোবিদের সাহায্যেরও প্রয়োজন হয়।

সমাজে স্থুলকায়দের পদে পদে অন্যদের কৌতুকের শিকার হতে হয়। তাঁরা ইচ্ছা মতো পোশাক পরতে, খেলতে, নাচতে পারেন না। এমন অবস্থায় নিজের শরীর নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন তাঁরা।

এই ধরনের ভাবনা দূর করার প্রচেষ্টাই ‘বডি পজিটিভিটি’। অর্থাত্ শরীর যেমনই হোক না কেন, আপনাকে সেটি নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে।

এর সঙ্গে কিন্তু ‘ফ্যাট-অ্যাকটিভিজম’ গুলিয়ে ফেললে চলবে না। অনেক ইনফ্লুয়েন্সার অতিরিক্ত ওজনকেই আদর্শ শরীর বলে ব্যাখা করেন। সেটি সঠিক নয়। স্থূলত্বের সঙ্গে হাজারো শারীরিক সমস্যা জড়িয়ে। আরও পড়ুন:  ‘SRK মেয়ের সঙ্গে ‘পাঠান’ দেখবে তো?’, বিতর্কের মধ্যে এমপি বিধানসভার স্পিকার

বডি পজিটিভিটিতে বরং শরীরের প্রতি ইতিবাচক ভাবনার প্রচার করা হয়। এর ফলে নয়া আত্মবিশ্বাসে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারেন সকলেই